
বড় সিদ্ধান্ত রেলের, আইআরসিটিসি-র ট্রেনের টিকিটের 'কনভিনিয়েন্স ফি'-র অর্ধেক নেবে সরকার
আইআরসিটিসি নিয়ে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেল রেল মন্ত্রক। আইআরসিটিসি-র ট্রেনের টিকিটের 'কনভিনিয়েন্স ফি'-র অর্ধেক যাবে রেল মন্ত্রকের অ্যাকাউন্টে। নয়া নির্দেশিকায় এমনটাই জানিয়েছে। এদিকে এই নয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে জল্পনা শোনা যাচ্ছিল অনেক আগে থেকেই। অবশেষে তাই এবার বাস্তবায়িত হতে চলেছে।


বড় সিদ্ধান্ত রেলের
এদিকে ২০১৪ সাল থেকে কনভিনিয়েন্স ফি বা সার্ভিস চার্জের ২০% যেত রেল মন্ত্রকের ঘরে। যদিও এর আগে এই নিময় ছিল না। এবার তা বেড়েই ৫০ শতাংশ হতে শুরু করেছে। যদিও এরই মধ্যে ২০১৫ সালে সার্ভিস চার্জের-র ৫০% জমা দেওয়ার নিয়ম করা হয়েছিল রেলের তরফে। যদিও ২০১৬ সালের নভেম্বরে সেই নিয়ম ফের প্রত্যাহার করা হয়। এবার পুনরায় তা ফিরতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে।

করোনাকালেই জোর ধাক্কা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২০-২১ সালে আইআরসিটিসি-র কনভিনিয়েন্স ফি থেকেই রেলের আয় ছিল সবচেয়ে বেশি। আর তাত দেখেই নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রেলের তরফে। এমনটাই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। এদিকে কোভিডকালে রেল পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ায় অন্যান্য ক্ষেত্রে আয় কমে রেলের। এমনকী ধাককা খায় ক্যাটারিং সহ বাকি পরিষেবাও।

কী বলছে গত বছরের হিসাব
এদিকে পরিসংখ্যান বলছে ২০১৯-২০ সালে অন্যান্য খাতে ৫১২.৪৫ কোটি টাকা আয় হয়েছিল আইআরসিটিসির। সেখান থেকে ২০২০-২১ সালে তা মাত্র ৮৭.৩১ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। যদিও করোনা সংক্রমণের পারাপতনের পর ফের ধীরে ধীরে তা বাড়তে শুরু করেছে। এদিকে রিপোর্ট বলছে, চলতি অর্থবর্ষে এর মধ্যে কনভিনিয়েন্স ফি খাতে ২৯৯.১৩ কোটি টাকা আয় হয়েছে আইআরসিটির।

কী বলছে আইআরসিটিসি
সেখানে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে এই একই খাতে ৩৪৯.৬৪ কোটি টাকা আয় হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। চলমান মহামারীর জেরে রেলের টিকিট বুকিং কমে যাওয়ার কারণেই আয়ার পরিমাণ মূলত তলানিতে এসে ঠেকে। লকডাউনের সময় সমস্যা সবথেকে ঘোরতোর হয়। এদিকে আইআরসিটির-র এক আধিকারিক স্পষ্টতই জানাচ্ছেন প্রাক-মহামারীর সময়কালে আইআরসিটিসি দিনে প্রায় ৭ লক্ষের বেশি টিকিট বুক হয়েছিল। এখন প্রতিদিন প্রায় ১৩ লক্ষ টিকেট বুক হয়। আর এই তত্ত্ব সামনে রেখেই তার দাবি সরকার অর্ধেক টাকা দাবি করলেও আইআরসিটিসি-র ভাঁড়ারে বিশেষ চাপ পড়বে না।