মুখ্যমন্ত্রী হয়েও ছাড়েননি সাংসদদের জন্য বরাদ্দ দিল্লির আবাসন , শুরু ভগবন্ত মানকে উচ্ছেদের প্রক্রিয়া
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হবেন তিনি। তাই ছেড়ে দিয়েছিলেন সাংরুর সাংসদ পদ। কিন্তু ছাড়েননি তাঁর জন্য বরাদ্দ হওয়া সরকারি বাড়ি , কিন্তু সেই বাড়ি এবার ছাড়তে হবে তাঁকে। লোকসভার সচিবালয় থেকে সেই কথা জানানো হয়েছে। পাঠানো হয়েছে নোটিশ। আগামী তিনটি 'ওয়ার্কিং ডে'-এর মধ্যে তিনি যদি বাড়ি না ছাড়েন তবে তাঁকে জানাতে হবে যে কেন তিনি বাড়ি ছাড়বেন না।
জানা গিয়েছে যে, লোকসভা সচিবালয় এএপি নেতা এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান-এর সংসদ সদস্য হিসাবে বরাদ্দ করা কেন্দ্রীয় সরকারি আবাসন খালি করার জন্য এস্টেট অধিদপ্তরকে উচ্ছেদের কাজ শুরু করতে বলেছে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য মার্চে সাংরুরের সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন মান।
এস্টেট অফিসারের কাছে তাদের আবেদনে সচিবালয় বলেছে যে মানকে ১৭ তম লোকসভার সদস্য হিসাবে তার বাসস্থান হিসাবে কেন্দ্রীয় সরকারের ডুপ্লেক্স নং ৩৩, নর্থ অ্যাভিনিউ এবং ১৫৩ নর্থ অ্যাভিনিউ বরাদ্দ করা হয়েছিল। "১৪ এপ্রিল থেকে ওই আবাসন আর তাঁর নামে নেই। বাতিল হয়ে গিয়েছে। " এতে এও বলা হয়েছে যে মান সাংসদ পদ ছেড়ে দেওয়ার এতদিন পরেও ওই জায়গাটি খালি করতে পারেননি।
লোকসভা সচিবালয় বলেছে যে ১৩ এপ্রিলের পরে প্রাক্তন সংসদ সদস্যের বাড়িটি আর ভগবন্ত মানের নামে নেই। এস্টেট অফিসারের কাছে পাঠানো পিটিশনে বলা হয়েছে যে, "ভগবন্ত মান যিনি প্রাক্তন সাংসদ তাঁকে এবং তাঁর সমস্ত ব্যক্তিদের ওই দুই বাড়ি থেকে উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু করার অনুরোধ করা হয়েছে।"
ঘটনা হল এই বিষয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সরকারি নথি অনুসারে, উল্লিখিত বাসস্থানটি এখন আরএলপি সভাপতি এবং রাজস্থানের সাংসদ হনুমান বেনিওয়ালকে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী, এমপি, বিচারক এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের চাকরি করা কালীন কিংবা সংশ্লিষ্ট পদে থাকাকালীন দিল্লিতে আবাসিক বাসস্থান বরাদ্দ করা হয়। তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে বা সময়ের আগে শেষ হয়ে গেলে, তারা আর ওই বাসস্থান দখল করে রাখতে পারবেন না।
পিআরএস আইন অনুসারে, কোনও ব্যক্তিকে আবাসিক বাসস্থান থেকে উচ্ছেদ করার জন্য, কেন্দ্রীয় সরকারের এস্টেট অফিসার প্রথমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে একটি লিখিত নোটিশ জারি করেন, তারপরে তাকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয় যে কেন উচ্ছেদের নোটিশ তাঁকে পাঠানো হবে না। তারপরে হয়ে বাকি কাজ।