মোদী সরকারকে বার্তা, মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রত্যাখ্যান ভূপেন হাজারিকার পরিবারের
প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকার মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রত্যাখ্যান করল পরিবার। সোমবার সঙ্গীতশিল্পীর ছেলে তেজ হাজারিকা এই কথা জানিয়ে দেন।
প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকার মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রত্যাখ্যান করল পরিবার। সোমবার সঙ্গীতশিল্পীর ছেলে তেজ হাজারিকা এই কথা জানিয়ে দেন। তিনি জানান, ২০১৬ সালের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে ভারত সরকারের এই মরণোত্তর সম্মান প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। তাঁরা এই সম্মান গ্রহণ করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এবার নরেন্দ্র মোদী সরকার অসমিয়া সঙ্গীত শিল্পী ভূপেন হাজারিকাকে বেছে নিয়েছিল মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান দেওয়ার জন্য। এবার তাঁর পরিবার তা প্রত্যাখ্যান করল। যে ইস্যুর প্রতিবাদ জানিয়ে এই সম্মান প্রত্যাখ্যান করা হল, তা নিশ্চিতভাবেই লোকসভার আগে ভাবাবে কেন্দ্রের সরকার তথা শাসক দলকে।
এর আগে মণিপুরের বর্ষীয়ান চলচ্চিত্র পরিচালক অ্যারিবাম স্যাম শর্মাও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে পদ্মশ্রী সম্মান প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এবার বিজেপি সরকারের অস্বস্তির তালিকায় যুক্ত হল আরও একটি নাম। সেই নাম ভূপেন হাজারিকা। যিনি বাংলা থেকে অসমিয়া-সহ বহু ভাষায় গানের মালিকা গেঁথে রেখে গিয়েছেন সঙ্গীতপ্রেমীর হৃদয়ে।
উল্লেখ্য, ভূপেন হাজারিকার জন্ম অসমের সাদিয়ায়। ১৯২৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ২০১১ সালের ৫ নভেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। এতদিন পর তাঁর নাম ভারত রত্নের জন্য ভেবেছিল সরকার। সঙ্গীত ও সমাজে অনন্য অবদানের জন্য তিনি এর আগে পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ, সঙ্গীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার ও দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার পান। কিন্তু এবার ভারতের সর্বোচ্চ অসমারিক সম্মান ফিরিয়ে দিয়ে কেন্দ্রের সরকারকে বার্তা দিল তাঁর পরিবার।