ভোপাল: সিমি জঙ্গি এনকাউন্টারের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পর উঠছে একাধিক প্রশ্ন!
'সোমবার ৮ সিমি জঙ্গি ভোপাল সেন্ট্রাল জেলের রক্ষীকে কুন করে পালানোর পর পুলিশের এনকাউন্টারে মারা যাওয়া সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামনে আসতেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
ভোপাল, ১ নভেম্বর : 'সোমবার ৮ সিমি জঙ্গি ভোপাল সেন্ট্রাল জেলের রক্ষীকে কুন করে পালানোর পর পুলিশের এনকাউন্টারে মারা যায়। সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজ সামনে আসে, যেখানে এক পুলিশ অফিসারকে বলতে শোনা যায় জিন্দা হ্যায়...মারো' - বেঁচে রয়েছে, মারো। মোবাইলে তোলা এই ভিডিও ক্লিপ উস্কে দিয়েছে একাধিক প্রশ্ন।
আরও একটি ফুটেজে শোনা যায়, "বুকে গুলি কর"। [ (ছবি) এনকাউন্টারে মৃত ৮ সিমি জঙ্গির সম্পর্কে জেনে নিন একনজরে!]
এনকাউন্টারের সত্যতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন জঙ্গিরা আত্মসমর্পণ করতে রাজি হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ তাদের গুলি করে।
কারণ দ্বিতীয় একটি ফুটেজে একদল ব্যক্তিকে দুর থেকে বলতে শোনা যায়, "দাঁড়াও! ওই পাঁচ ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইছে। তিনজন পালানোর চেষ্টা করছে। ওদের ঘিরে ফেলার চেষ্টা কর।" এর কয়েক মুহূর্তের মধ্যে গুলির আওয়াজ শোনা যায়।
ভোপাল সেন্ট্রাল জেল থেকে পালিয়ে ভোপালের ১০ কিলোমিটার দূরে একটি গ্রামে গা ঢাকা দেয় ৮ সিমি জঙ্গি।
বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন কেন আত্মসমর্পণে বাধ্য না করে গুলি করল পুলিশ তার কোনও ব্যাখ্যা পুলিশের তরফে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়াও একাধিক প্রশ্ন মাথাচাড়া দিচ্ছে, প্রথমত, তারা অস্ত্রশস্ত্র জোগাড় করতে পারলেও পালানোর জন্য একটা গাড়ি জোগাড় করতে পারল না?
যে গ্রামে ৮ সিমি জঙ্গি লুকিয়েছিল, সেই গ্রামের গ্রামবাসীদের একাংশের কথায়, পলাতকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট পাথর ছুঁড়ছিল। এখন প্রশ্ন তাদের কাছে যদি চারটি বন্দুক ছিল তাহলে কেন ইঁট পাথর দিয়ে পুলিশকে আক্রমণ করছিল তারা?
মানবাধিকার কমিশনের তরফেও এনকাউন্টার নিয়ে পুলিশের দাবি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, "সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত।"