ভারতে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়েই আসতে পারে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন
২০২১ সালে আসতে পারে কোভ্যাকসিন
করোনা ভাইরাস মহামারির প্রকোপ এখনও বিদায় নেয়নি বিশ্ব থেকে। বেশ কিছু দেশের পক্ষ থেকে করোনা ভ্যাকসিন প্রার্থীদের ট্রায়াল চলছে। তবে কবে ভ্যাকসিন বাজারে আসবে সে নিয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। এরই মধ্যে সাও পাওলো গর্ভনরের বাধ্যতামূলক ভ্যাকসিনের প্রচার ও চিনের করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন সিনোভ্যাকের ব্যবহারের প্রতিশ্রুতির বিরুদ্ধে, যা এই মুহূর্তে ব্রাজিলে ট্রায়াল চলছে, এই নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে এই দেশে। বিপরীত দিকে ভারতের নিজস্ব ভ্যাকসিন প্রার্থীর প্রস্তুতকারক বায়োটেক ২০২১ সালে করোনা ভ্যাকসিন কোভ্যাকসিন নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছে।
ব্রিটেনে ভ্যাকসিন নিয়ে পর্যালোচনা
করোনা ভাইরাস প্রকোপের ফলে ব্রিটেনে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে এবং দেশের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রকের পক্ষ থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দ্রুত নিয়ে আসার জন্য পর্যালোচনা চলছে।
২০২১ সালে কোভ্যাকসিন?
ভারতের দেশীয় করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের প্রস্তুতকারক ভারত বায়োটেক পরিকল্পনা করছে যে ২০২১ সালে তারা এই ভ্যাকসিনের সেকেন্ড কোয়ার্টার নিয়ে আসতে পারে যদি স্বাস্থ্য নিয়ামক সংস্থার পক্ষ থেকে অনুমোদন পাওয়া যায়। দিল্লির এইমস ইতিমধ্যেই কোভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের অনুমতির জন্য প্রস্তাব পেশ করেছে এথিকস কমিটির কাছে। ড্রাগ নিয়ন্ত্রক জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে ভারত বায়োটেক ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য প্রাথমিক অনুমতি পেয়ে গিয়েছে, তারা জানিয়েছে, তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য নিয়োগ চলছে এবং নভেম্বরেই এই ভাইরাসের ডোজ দেওয়া হবে।
১০–১২টি রাজ্যে কোভ্যাকসিনের ট্রায়াল
এই ট্রায়াল হবে ১০-১২টি রাজ্যের ২৫ টি এলাকায় এবং স্বেচ্ছাসেবকদের দু'বার এই ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হবে, বলে জানিয়েছেন সংস্থার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সাই প্রসাদ।
ভ্যাকসিন–বিরোধী বিক্ষোভ ব্রাজিলে
ব্রাজিলে বাধ্যতামূলক ভ্যাকসিন নেওয়া ও চিনের সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনের ট্রায়াল ও ব্যবহার নিয়ে দেশে সাও পাওলো গর্ভনরের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। রবিবার প্রায় ৩০০ জনের বেশি ব্রাজিলিয়ানরা সাও পাওলোতে জমায়েত হয়ে গর্ভনর জোও ডোরিয়ার বাধ্যতামূলক ভ্যাকসিন দেওয়া ও চিনের সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনের সমর্থনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এর আগে গর্ভনর ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়টিকে সমর্থন জানিয়ে ছিলেন এবং প্রেসিডেন্ট বলসোনারো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি স্বেচ্ছাসেবক হবেন। সাও পাওলোতে ডোরিয়া সরকারের সমর্থনেই সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। গত মাসেই ব্রাজিলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল যে চিনের থেকে তারা ৪৬ মিলিয়ন করোনা ভ্যাকসিন ডোজ কিনবে। দেশের সরকার এই চুক্তিতে সমর্থন করলেও পরে ডান-পন্থী প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো জানান যে ব্রাজিল কোনও ভ্যাকসিন কিনবে না চিনের থেকে।
শুভেন্দু প্রশংসায় ভরালেন রাজ্যের মন্ত্রী! ২০২১-এর ভোটের আগে জল্পনা