শুক্রবারের বনধে স্তব্ধ হতে পারে ভারত, এক নজরে ধর্মঘটের জরুরি তথ্যগুলি
লাগাতার পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং জিএসটির প্রতিবাদে প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি ব্যবসায়ী এই ধর্মঘটে সামিল হবেন বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, শুক্রবার প্রায় কয়েক লক্ষ পণ্যবাহী ট্রাক রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি
একগুচ্ছ দাবিতে ভারত বনধের ডাক সর্বভারতীয় ট্রেডার্স কনফেডারেশনের। শুক্রবার ২৬ ফেব্রুয়ারি এই বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছে বিভিন্ন পরিবহণ সংগঠনগুলি।
লাগাতার পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং জিএসটির প্রতিবাদে প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি ব্যবসায়ী এই ধর্মঘটে সামিল হবেন বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, শুক্রবার প্রায় কয়েক লক্ষ পণ্যবাহী ট্রাক রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি পরিবহন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের তরফে।
ফলে বনধের একটা প্রভাব পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। সর্বভারতীয় ট্রেডার্স কনফেডারেশনের তরফে জানানো হয়েছে যে, ছোট বড় একাধিক সংগঠন তাদের এই ধর্মঘটে সামিল হবে। দিল্লি তো বটেই প্রত্যেকটি রাজ্যেই ব্যবসায়ীরা ভারত বনধে সামিল হবেন বলে দাবি সংগঠনের।
সর্বভারতীয় ট্রেডার্স কনফেডারেশনের কথা মতো ৮ কোটির বেশি ব্যবসায়ী এবং ৪০ হাজারেও বেশি সংস্থা এই ভারত বনধের পক্ষে রয়েছে। জিএসটির প্রতিবাদে এই ধর্মঘট। এছাড়াও ভারত বনধকে সমর্থন জানিয়েছে দেশের শীর্ষ পরিবহণ সংগঠনটি। মহারাষ্ট্র-হরিয়ানার ট্রাক মালিকরাও এই বনধ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। পরিবহণ সংগঠনগুলির দাবি, ই-ইনভয়েসের পরিবর্তে ই-ওয়ে বিল আনতে হবে এবং ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি রুখতে হবে। সমস্ত পরিবহন গুদামগুলি প্রতিবাদী ব্যানার লাগাবে। গ্রাহকদের কাছে তাঁর আবেদন, শুক্রবার যেন কোনও ট্রাক-লরি কেউ ভাড়া না নেন।
সর্বভারতীয় ট্রেডার্স কনফেডারেশনের তরফে জানানো হয়েছে যে, জাতীয় এবং রাজ্যস্তরের ক্ষুদ্র শিল্পগুলি, হকার, বিভিন্ন উদ্যোগপতিরাও এই ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছেন। ফলে গোটা দেশে একটা বড় প্রভাব এই বনধের দেখতে পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেশজুড়ে স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে যান চলাচল। বিশেষ করে পণ্য পরিবহনে বড়সড় প্রভাব পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিভিন্ন বাজার বন্ধ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ওষুধের দোকান, দুধ, বাজার এবং জরুরি পরিষেবাকে বনধের আওতা থেকে আলাদা রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় ব্যাংক বন্ধ থাকতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে বম্বে গুজস ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সচিব সুরেশ খোসলা জানিয়েছেন, পরিবহন ব্যবসাকে বাঁচাতে সরকারের কাছে একাধিকবার আবেদন জানানো হয়। কিন্তু এই বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই দাবি তাঁদের। জিএসটি এবং পেট্রোপণ্য়ের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে একাধিক বার সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সুরাহা হয়নি। তাই এই আন্দোলনে নামা। এরপরেও কোনও ব্যবস্থা না নিলে আরও বৃহত আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি একাধিক সংগঠনের তরফে।