অহিংস সত্যাগ্রহের রাস্তায় হেঁটে বনধে সামিল কৃষকরা, বিজেপিকে নিশান টুইটে সুর চড়াচ্ছেন রাহুল
অহিংস সত্যাগ্রহের রাস্তায় হেঁটে বনধে সামিল কৃষকরা, টুইট রাহুলের
কৃষক আন্দোলনের ৩০৫ দিনে ফের হরতালের মুখে গোটা দেশ। এদিকে অন্যান্য বিরোধীদের পাশাপাশি ইতিমধ্যেই কৃষকদের ডাকা এই বনধে সমর্থন দিয়েছে কংগ্রেস। দিকে সোমবার সকালেই কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে মোদী সরকারকে শোষক বলে কটাক্ষ করতে দেখা যায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। এমনকী টুইটেও করেন তীব্র আক্রমণ।
কী বললেন রাহুল
এবার ফের টুইট করে কৃষকদের সপক্ষে আওয়াজ তুলতে দেখা গেল রাহুল গান্ধীকে। টুইট বার্তায় রাহুল লিখেছেন, 'কৃষকদের অহিংস সত্যাগ্রহ আজও অটুট রয়েছে, কিন্তু শোষক সরকার তা পছন্দ করে না। সেই কারণেই আজ ভারত বনধ।" এদিকে কংগ্রেস ছাড়াও বিভিন্ন বিরোধী দলও কৃষকদের ভারত বনধকে সমর্থন করেছে। একই সময়ে, ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের অন্যতম প্রধান নেতা রাকেশ টিকাইত এদিনই স্পষ্টতই হুশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন তিন আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরবে না কৃষকেরা।
ভালো প্রভাব পড়েছে একাধিক রাজ্যে
এদিকে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার ডাকা ভারত বনধে ভালো প্রভাব পড়েছে পঞ্জাব, হরিয়ানা,উত্তরপ্রদেশে। প্রভাব পড়েছে রাজধানী দিল্লিতেও। দিল্লির একাধিক জায়গায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে যান চলাচল। বনধের ভালো প্রভাব পড়েছে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা সহ অন্যান্য রাজ্যেও। এদিকে হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে শাহবাদে দিল্লি-অমৃতসর জাতীয় সড়কও অবরোধের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশ থেকে গাজীপুর পর্যন্ত যাতায়াতও আপাতত বন্ধ।
কোন কোন দল সমর্থন করছে
অন্যদিকে হরতাল সমর্থকদের আটকাতে কাল থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ। সবথেকে বেশি প্রস্তুতি নিতে দেখা যায় দিল্লি পুলিশকে। কিন্তু তাতেও বিশেষ ফল হয়নি। এদিকে দক্ষিণে শাসক সিপিএম বনধে পূর্ণ সমর্থন জানানোয় ভালো প্রভাব পড়েছে কেরলে। পুরো দস্তুর বনধ হচ্ছে রাজস্থান, ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যেগুলিতে। এদিকে সিপিএমের পাশাপাশি বনধে সমর্থন জানিয়েছে সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লক, আর এস পি, সমাজবাদী পার্টি, সিপিআই এম-এল (লিবারেশন), সিপিআই(এম) নিউ ডেমোক্রেসি, এস ইউ সি আই(সি), এম সিপি আই (ইউ), কংগ্রেস, আপ, টিডিপি, জেডিএস, বিএসপি, এনসিপি, ডিএমকে, ওয়াইএসআরসিপি-র মতো দলগুলিও।
কৃষকদের দাবি মানতে নারাজ কেন্দ্র
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছরের শেষার্ধ থেকেই ক্রমেই গোটা দেশে তীব্র হতে থাকে কৃষক আন্দোলনের আঁচ। পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ সহ সারা দেশের হাজার হাজার কৃষক গত বছর সেপ্টেম্বরে কার্যকর হওয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত দশ মাস ধরে দিল্লির সীমান্তে একটানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু একাধিক বৈঠকের পরেও কৃষকদের দাবি মানতে নারজ কেন্দ্র সরকার।