ভারত বনধ কি সফল হল? বাংলা সহ অন্য রাজ্যে সারাদিনের হাল-হকিকত
ভারত বনধ কি সফল হল? বাংলা সহ কোন রাজ্যে সারাদিনের হালহকিকত
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা ডাকা বনধে বেশ ভালোই সাড়া পড়ল গোটা দেশজুড়ে। ৪০টি কৃষক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার ডাকে চলা এই বনধ চলল সোমবার সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। বনধের ভালো প্রভাব পড়ল তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা সহ অন্যান্য রাজ্যেও। ভালো প্রভাব পড়েছে বাম শাসিত কেরলে। ভালো বনধ হল কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতেও। সকাল থেকেই চাক্কা জ্যাম দেখা যায় রাজস্থান, ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যেগুলিতে।
‘সফল হয়েছে বনধ’
এদিকে বনধে যে ভাবে সাধারণ মানুষ সাড়া দিয়েছেন তাতে খুশি কৃষক নেতারা। বনধ প্রসঙ্গে বিকেইউ নেতা তথা সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার মুখপাত্র রাকেশ টিকাইত বলেন, "আমাদের 'ভারত বনধ' সফল হয়েছে। আমাদের ডাকা বনধে পূর্ণ সমর্থন ছিল কৃষকদের। তবে মানুষের সুবিধার্থেই আমরা দীর্ঘ সময় দেশ অচল করে রাখতে পারিনা। আমরা কিন্তু কৃষি আইন নিয়ে সরকারের সাথে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তাদের তরফে কোনও সদিচ্ছা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না।"
প্রয়োজনে ১০ বছর পর্যন্ত আন্দোলন চালানোর হুঁশিয়ারি
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কৃষি আইন নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই দফায় দফায় সুর চড়িয়ে চলেছেন কৃষক নেতারা। দ্রুত এই তিনি 'কালা' আইন বাতিল না করলে শীঘ্রই বৃহত্তর আন্দোলনের রাস্তায় তারা হাঁটতে বাধ্য হবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন। অন্যদিকে কৃষি আইন বাতিলের পাশাপাশি কৃষজ পণ্যে এমএসপি নিশ্চিত করতে নয়া আইন আনারও দাবি তুলেছেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত। প্রয়োজনে ১০ মাসের জায়গায় ১০ বছর পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
অবরোধের মুখে পড়ে রেল
এদিকে কৃষকদের ভারত বনধের বিশেষ প্রভাব পড়ে হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পথ আটকে চলে বিক্ষোভ। অবরুদ্ধ হয়ে যায় প্রধান সড়কও। এমনকি অনেক জায়গাতেই আন্দোলনকারী কৃষকদের রেল লাইনের উপরেও বসে পড়তে দেখা যায়। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ট্রেন চলাচল। উত্তরভারতের বড় অংশে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রাজধানী দিল্লির বড় অংশ।
বিকেল হতেই উঠতে শুরু করে অবরোধ
দিল্লির পার্শ্ববর্তী এলাকা গুরগাঁও, গাজিয়াবাদ এবং নয়ডায় বনধের ভালো প্রভাব পড়ে। এদিকে বিকেল চারটা নাগাদ রেল অবরোধ ওঠে সোনিপতে। বিকেল হতে না হতেই দিল্লি-মিরাট এক্সপ্রেসওয়ে থেকে উঠে যায় অবরোধ। খুলে যায় গাজীপুর সীমান্তও। যদিও দেশের বেশিরভাগ অংশই প্রভাবিত হয়নি বনধের কারণে। মোটামুটি সবকিছু স্বাভাবিকই ছিল বাংলা সহ একাধিক রাজ্যে।