বাইচুং-এ তৃণমূল ত্যাগে উচ্ছ্বাস বিজেপি শিবিরে! নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত
বাইচুং ভূটিয়ার তৃণমূল ত্যাগে উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারলেন না কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু। বাইচুং-এর তৃণমূল ত্যাগের ঘটনাকে স্বাভাবিক বলেই বর্ণনা করেছেন তিনি।
বাইচুং ভূটিয়ার তৃণমূল ত্যাগে উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারলেন না কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু। বাইচুং-এর তৃণমূল ত্যাগের ঘটনাকে স্বাভাবিক বলেই বর্ণনা করেছেন তিনি। তবে বাইচুং-এর দলত্যাগের সঙ্গেই বিজেপির এই উচ্ছ্বাস এক নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
তৃণমূল ছাড়তে চেয়ে বাইচুং-এর টুইট করার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা কিরণ রিজিজুর টুইট। তিনি বলেছেন, ফুটবল আইকন ও প্রাক্তন জাতীয় দলের অধিনায়ক বাইচুং ভূটিয়ার পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত স্বাভাবিক ঘটনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রভূত সম্মান করলেও, তিনি এই মুহূর্তে দলে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। বাইচুং ফুটবল ও সিকিমের সার্বিক উন্নয়নের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করেছেন। বাইচুং-এর ভবিষ্যত সাফল্য কামনা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। রিজিজুর টুইটটি আবাক 'লাইক' করেছেন অপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ বিজয় গোয়েল।
Football icon & former Indian captain Baichung Bhutia's resignation from TMC was expected. He told me he has high regards for Mamata Banerjee but unable to cope with the situation. He desires to do more for Football & Sikkim. My best wishes to Bhaichung for his future endeavour. pic.twitter.com/QJr7TT4Gsr
— Kiren Rijiju (@KirenRijiju) February 26, 2018
বাইচুং-এর দলত্যাগের সঙ্গেই বিজেপির এই উচ্ছ্বাস এক নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সিকিমের শাসক দল সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টে যোগ দিতে পারেন বাইচুং ভূটিয়া। বিষয়টি নিয়ে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, সিকিম থেকেই এনডিএ-র প্রার্থী হতে পারেন। অথবা তাঁকে রাজ্যসভার প্রার্থীও করা হতে পারে।
কোনও কোনও মহল থেকে শোনা যাচ্ছে, বাইচুং বিজেপিতেও যোগ দিতে পারেন।
২০১৬ সালে নির্বাচনে শিলিগুড়িতে সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের কাছে নির্বাচনে হারার পর থেকে দলের একাংশের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ব্যক্তিগতভাবে তিনি চান গোর্খাল্যান্ড হোক। বাইচুং-এর এই বক্তব্যের পরেই তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের ফাটল আরও চওড়া হয় বলেই জানা গিয়েছে।
তবে ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি দিন কয়েকের মধ্যেই ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন বাইচুং ভূটিয়া।