এই শহর থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী
এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তিকর্মী অজিতাভ কুমার। ২৯ বছরের এই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী কাজ করতেন ব্রিটিশ টেলিকমে। ১৮ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুর হোয়াইট ফিল্ড এলাকা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন।
এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তিকর্মী অজিতাভ কুমার। ২৯ বছরের এই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী কাজ করতেন ব্রিটিশ টেলিকমে। ১৮ ডিসেম্বর সোমবার বেঙ্গালুরুর হোয়াইট ফিল্ড এলাকা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি।
[আরও পড়ুন: মেলবোর্ন, সিঙ্গাপুরের পাশে বেঙ্গালুরু, কলকাতা কবে]
পটনার বাসিন্দা পেশায় সফটঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অজিতাভ কুমার। গত সোমবার সন্ধে সাড়ে ছটা নাগাদ বেঙ্গালুরুর বাড়ি থেকে বের হন।
নিজের গাড়ি বিক্রি করতে ওএলএক্স-এ বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন অজিতাভ কুমার। অজিতাভের বন্ধুদের সন্দেহ, কোনও ক্রেতা তাঁকে ফোন করেছিলেন।
ওই দিনের পর থেকে অজিতাভের গাড়ির খোঁজ নেই। খোঁজ পাওয়া যায়নি তাঁর ফোনটিরও। পুলিশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে।
বন্ধুরা জানিয়েছেন, ১৮ ডিসেম্বর সন্ধে ৭.১০ পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপে সক্রিয় ছিলেন অজিতাভ। কিন্তু ওই সময়ের পর থেকে মোবাইল সুইচ অফ হয়ে যায়। মোবাইলের শেষ টাওয়ার লোকেশন ছিল হোয়াইটফিল্ডের গুঞ্জুরে।
তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তদন্তে সবকটি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ব্যক্তিগত জীবন এবং চাকরির স্থলের তথ্যও যাচাই করছেন তদন্তকারীরা। অনলাইন পোর্টালের কাছ থেকেই তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁর কল রেকর্ডের বিস্তারিত তথ্য ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে এসেছে।
অজিতাভ পটনা থেকে বেঙ্গালুরুতে যান ২০১০ সালে। সেই সময় থেকে হোয়াইট ফিল্ডে ছোট বেলার বন্ধু রবির সঙ্গেই থাকতেন তিনি। কলকাতা আইআইএম-এ সুযোগ পাওয়ায় নিজের গাড়িটি বিক্রির চেষ্টা চালাচ্ছিলেন অজিতাভ। ২০ ডিসেম্বর প্রায় ৫ লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার কথা ছিল। বন্ধু রবি জানিয়েছেন, ১৮ ডিসেম্বর অজিতাভ যখন বাড়ি থেকে বের হন, তখন, সাধারণ পোশাকে ছিলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, মারুতি গাড়ির যে মডেলটি অজিতাভের কাছে ছিল তার দাম পড়েছিল ১২ লক্ষ টাকা। গাড়িটি ১১.৮ লক্ষে বিক্রি করতে ওএলএক্স-এ বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন অজিতাভ। একইসঙ্গে বেসরকারি ব্যাঙ্কেও ঋণের জন্য আবেদন করেছিলেন।
গাড়ি ক্রেতা সেজে কেউ তাঁকে অপহরণ করতে থাকতে পারে বলে প্রাতমিক ভাবে অনুমান করছে পুলিশ। এছাড়া অজিতাভের নিরুদ্দেশ হওয়ার মতো কোনও কারণ নেই বলেই জানিয়েছেন পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুরা।