করোনার ভাইরাস যাতে পোশাকে ছড়িয়ে না পড়ে এমনই রাসায়নিক যৌগ তৈরি হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে
করোনার ভাইরাস যাতে পোশাকে ছড়িয়ে না পড়ে এমনই রাসায়নিক যৌগ তৈরি হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে
বেঙ্গালুরুর বিজ্ঞানীরা এমনই একটি পোশাকে ব্যবহার যোগ্য রাযায়নিক যৌগের আবরণ তৈরি করেছেন, যেটি করোনা ভাইরাসকে পোশাক, প্রোটেকটিভ গিয়ার, গাউন ও অন্যান্য বস্তুতে ছড়ানো থেকে আটকাতে পারবে। এই জীবাণিঘটিত অণু বর্তমান মহামারির সময় সামনের সারির স্বাস্থ্যকর্মীদের আরও বেশি করে সুরক্ষা দিতে পারবে।
এই
রাসায়নিক
যৌগ
যা
অ্যামোনিয়াম
সল্টের
ওপর
ভিত্তি
করে
তৈরি
হয়েছে,
সেটির
ভালো
ফলাফল
দেখা
দিয়েছে
বেঙ্গালুরুর
গবেষণা
কেন্দ্রে।
বিজ্ঞানীরা
এই
যৌগের
উৎপাদন
বাড়ানোর
জন্য
রাসায়নিক
উৎপাদন
সংস্থাগুলির
সঙ্গে
আলোচনা
করছেন।
ন্যাশনাল
সেন্টার
বায়োলজিক্যাল
সায়েন্সের
অধ্যাপক
সত্যজিত
মেয়র
বলেন,
'এটি
একটি
জীবাণুঘটিত
আবরণ
যা
কাপড়ের
উপর
প্রয়োগ
করার
সময়
ব্যাকটিরিয়া
বা
জীবাণুকে
নিরবচ্ছিন্ন
করে
ভাইরাসের
প্রতিরোধ
করে।
এটি
পাতলা
আবরণের
মধ্যে
গিয়েও
প্রতিরোধ
করতে
সক্ষম।’
তবে
আনুষ্ঠানিকভাবে
ঘোষণা
করার
আগে
এটার
সুরক্ষা
নিয়ে
পরীক্ষা
করা
অত্যন্ত
জরুরি।
মেয়র
বলেন,
'এটা
যদি
কার্যকর
হয়
যেটা
আমরা
মনে
করছি
হবে
তবে
এটি
সহজেই
প্রয়োগ
করা
সম্ভব
এবং
ভাইরাসকে
অনবরত
দূরে
রাখতে
পারবে।’
তবে এই রাসায়নিক যৌগ আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে কোনও ফলদায়ক হবে না। তবে এই রাসায়নিকের উদ্দেশ্য হল পোশাক থেকে যাতে কোনওভাবেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে। এটা স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য খুবই দরকারি, কারণ তাঁরা সরাসরি এই মারণ ভাইরাসের সংস্পর্শে আসেন। এই গবেষণার আর এক গবেষক ডাঃ প্রবীণ কুমার ভেমুলা জানিয়েছেন এই যৌগ আবরণ দু’ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রথমত সলিউশন হিসাবে, এটি মাস্ক বা কোটে লাগানোর পর তা তাপের সংস্পর্শে আসা মাত্রই অণু আটকে যাবে। দ্বিতীয়ত, এই যৌগের সঙ্গে প্রাক–সংযুক্তিযুক্ত একটি ফ্যাব্রিক এমন নির্মাতাদের দেওয়া যেতে পারে যারা সেটিকে গ্লাভস বা কোটের মধ্যে সেলাই করে দেবে। এই রাসায়নিক যৌগ ২৫ বার ধোওয়ার পর পোশাকের মধ্যে থাকে বলে জানা গিয়েছে।
করোনা লকডাউন ৪.০ নিয়ে ঘোষণা কবে, নতুন গাইডলাইন জারি করবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক