মোদীর নামে মসজিদ! সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠল ঝড়, এরপরই সামনে এল প্রকৃত সত্য
মোদী হাওয়ায় মসজিদও নাম বদলে ফেলেছে! সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর রটেছে মসজিদও নাম বদলে মোদীর নামে রাখছে। বেঙ্গালুরুর তাসকের টাউনের সেই মোদি মসজিদ নিয়ে গুজবে চোখ মেলা দায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
মোদী হাওয়ায় মসজিদও নাম বদলে ফেলেছে! সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর রটেছে মসজিদও নাম বদলে মোদীর নামে রাখছে। বেঙ্গালুরুর তাসকের টাউনের সেই মোদি মসজিদ নিয়ে গুজবে চোখ মেলা দায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। মোদী দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরই নাকি এমনটা হয়েছে। আর এই রটনার জাল কাটতে এবার আসরে নামলেন খোদ ইমাম সাহেবরা।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে যোগ নেই
মোদি মসজিদের ইমাম গোলাম রব্বানি বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা রটনা চলছে। এই মসজিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কোনও সম্পর্ক নেই। এই মসজিদের নাম নিয়ে ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি শুরু হয়েছে। তিনি জানান, এই মসজিদের বয়স বর্তমানে ১৭০ বছর। আর প্রধানমন্ত্রী মোদির বয়স এখনও ৭০ পার হয়নি। তাহলে তাঁর সঙ্গে এই মসজিদের নামের কোনও সম্পর্ক থাকবে কেন।
কেন নাম মোদী মসজিদ
এই মসজিদের নাম কখনও পরিবর্তন হয়নি। আগেও যা ছিল, এখনও তা-ই আছে। আর এই মোদীর নাম নিয়ে যে জল্পনা তার জবাবে ইমাম সাহেব জানান, ১৮৪৯ সালে এই মসজিদ স্থাপিত হয়। তাসক শহরে বাস করতেন প্রখ্যাত ব্যবসায়ী মোদী আবদুল গফুর। যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরে তিনিই মসজিদ তৈরি করেন। সেই মসজিদের নাম দেওয়া হয় 'মোদি মসজিদ'। এখানে একটি রাস্তাও 'মোদী রোড' নামে পরিচিত।
মসজিদ সংস্কার শপথের দিনে
কিন্তু এই মোদী মসজিদে রূপান্তরিত হওয়ার গল্প রটল কীভাবে? তার কারণও ব্যাখ্যা করলেন মসজিদ কমিটির এক সদস্য। আসলে যেদিন নরেন্দ্র মোদী শপথ নেন দ্বিতীবারের জন্য, সেদিনই মসজিদ সংস্কারের পর উদ্বোধন করা হয়। পুরাতন ভবন ভেঙে পুনর্নির্মাণ করা নতুন ভবনে মোদী মসজিদ লেখা জ্বলজ্বল করে ওঠে। তারপরই ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ে।
ছবি সৌ:টুইটার