বেঙ্গালুরুতে ঐতিহ্য মেনে দীপাবলির আনন্দে মেতে ওঠেন 'প্রবাসী বাঙালি' সঙ্গীতা! পাশে থাকে পরিবার
কালীপুজো ঘিরে মাতোয়ারা গোটা বাংলা। নৈহাটি থেকে বারাসাত, দক্ষিণেশ্বর থেকে কালীঘাট, চারিদিকেই সাজো সাজো রব।
কালীপুজো ঘিরে মাতোয়ারা গোটা বাংলা। নৈহাটি থেকে বারাসাত, দক্ষিণেশ্বর থেকে কালীঘাট, চারিদিকেই সাজো সাজো রব। আজ আলোর রোশনাইতে মনের অন্ধকার দূর করার দিন, আর সেই আয়োজনে ব্যস্ত বাংলার প্রতিটি ঘর। কোথাও প্রথা মেনে চোদ্দ শাক কেনার ব্যস্ততা , তো কোথাও গৃহকর্তা আজ নিজেই ছাদে দাঁড়িয়ে আলোক সজ্জার 'ফাইনাল টাচ' তদারকি করে চলেছেন! সুদূর বেঙ্গালুরুতেও ছবিটা একই। একই ব্যস্ততা এই শহরের প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যেও। এই প্রযুক্তিনগরীর বাঙালিরাও একই পরম্পরা মেনে পালন করছেন কালীপুজো। ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা খোঁজ নিয়েছিল বেঙ্গালুরুর শিল্পোদ্যোগী সঙ্গীতার কালীপুজো সেলিব্রেশন নিয়ে। দেখে নেওয়া যাক, 'হিয়ার মাঝে কলকাতা' খ্যাত সঙ্গীতা সিনহার কালীপুজো ঘিরে কী প্ল্যানিং রয়েছে!
নিয়ম মেনে চোদ্দ প্রদীপ..
সঙ্গীতা বলছেন, ২০০৮ সাল থেকে বিবাহসূত্রে তিনি বেঙ্গালুরুতে। আর সেই থেকেই নিয়ম মেনে আচার-রীতি পালন করেন সঙ্গীতা ও তাঁর পরিবার। যাবতীয় পরম্পরা মেনেই চোদ্দ প্রদীপ আর চোদ্দ শাকের প্রচলন রয়েছে বেঙ্গালুরুর সিনহা পরিবারে। 'হিয়ার মাঝে কলকাতা' রেস্তোরাঁ ঘিরে ব্যস্ততা শুরু হওয়ার পরেও বাঙালি ঐতিহ্য থেকে এক চুলও সরে আসেননি এই গৃহবধূ।
এবছরের কালীপুজোর প্ল্যান কী?
এই প্রশ্নের উত্তরে সঙ্গীতা জানাচ্ছেন, গত বছর বেঙ্গালুরুর বিটিএম-এর হট্টোগোলের কালীপুজোয় তাঁর রেস্তোরাঁর স্টল ছিল। আর এবারেও সেই পুজোয় সঙ্গীতার রেস্তোরাঁ 'হিয়ার মাঝে কলকাতা' ও 'শাহিয়া' র স্টল থাকছে। ফলে স্বভাবতই কালীপুজোতেও দম ফেলার সময় নেই সঙ্গীতার!
[আরও পড়ুন:বেঙ্গালুরুর দীর্ঘতম কালীপ্রতিমা এবার হট্টোগোলের পুজোয়! উচ্ছ্বসিত উদ্যোক্তারা]
পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে উদযাপন!
সঙ্গীতা বলছেন, মেয়ে হিয়াকে ঘিরেই তাঁর কালীপুজো সেলিব্রেশন। গতকাল রাত থেকেই বাজি পোড়ানোয় মেতে উঠেছে গোটা সিনহা পরিবার। তবে শব্দবাজি একেবারেই পছন্দ করেন না সঙ্গীতা ও তাঁর পরিবার। দুঃস্থদের বিভিন্ন রকমের সাহায্যের মাধ্যমে সিনহা পরিবার দীপাবলি উদযাপন করে থাকে, এবারেও সেই পরম্পরা ধরে রেখেছেন সঙ্গীতা। এছাড়াও কালীপুজোর দিনও সন্ধ্যে নামতেই শুরু হবে সেলিব্রেশন, এরপর হট্টোগোল-এর পুজোর মাঠে 'হিয়ার মাঝে কলকাতা'র স্টলে ব্যস্ততা শুরু হয়ে যাবে বাঙালি গৃহবধূ সঙ্গীতার।
' কালীপুজোয় আমার সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হল'..
এবছর হট্টোগোলের কালীপুজোয় ভোগ রান্নার দায়িত্বে থাকছে সঙ্গীতার রেস্তোরাঁ 'হিয়ার মাঝে কলকাতা'। আর কয়েক হাজার দর্শনার্থীর জন্য সেই ভোগ সুষ্ঠুভাবে প্রস্তুতির আয়োজনে আপাতত খুবই ব্যস্ত সঙ্গীতা সিনহা। সঙ্গীতা বলছেন, 'কালীপুজোয় আমার সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হল ভোগ । ভোগের দায়িত্ব যেন আমি ভালোভাবে সামলে নিতে পারি সেটা নিয়েই টেনশনে আছি (হাসি)!' তবে ইতিমধ্যেই ঘরের ঠাকুরকে নিজের হাতে পায়েস রান্না করে অর্পণ করেছেন সঙ্গীতা, আর সেই অর্পণ ও পুজো দিয়েই শুরু হয়েছে প্রবাসী বাঙালি সঙ্গীতার দীপাবলী সেলিব্রেশন।