বেঙ্গালুরুতে বাড়ির দুর্গাপুজো মিস করছেন! ভোগ থেকে অঞ্জলিতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে বানারঘাটার পুজো
ঠাকুর আনতে যাওয়ার তোড়জোড়, বাড়িতে ঠাকুর আসার আনন্দ যেকোনও সাবেকি দুর্গাপুজোর অঙ্গ। সকাল সকাল স্নান সেরেই দুর্গা দালানে না পৌঁছলে ঠিক বাড়ির পুজো মনে হয় না!
ঠাকুর আনতে যাওয়ার তোড়জোড়, বাড়িতে ঠাকুর আসার আনন্দ, যেকোনও সাবেকি দুর্গাপুজোর অঙ্গ। সকাল সকাল স্নান সেরেই দুর্গা দালানে না পৌঁছলে ঠিক বাড়ির পুজো মনে হয় না! ঢাক , কাঁসর , মন্ত্রোচ্চারণে ততক্ষণে বাড়ির দুর্গাপুজোর আসর জমজমাট। বাংলার বহু পরিবারেই এমন দৃশ্য দেখা যায়। তবে সুদূর বেঙ্গালুরুতে এমন ছবি পাওয়া কঠিন হলেও দুর্লভ নয়!
বেঙ্গালুরুর বানেরঘাটার দুর্গাপুজো কোনও সাবেকি বাঙালি বাড়ির পুজোর থেকে কম নয়! এই পুজোয় অংশগ্রহণ করে কোখনওই মনে হবে না আপনি আমন্ত্রিত। সকলকে একসঙ্গে নিয়ে চলাই এই পুজোর মূল উদ্দেশ্য। এমনটাই জানিয়েছেন পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা প্রিয়া মুখোপাধ্যায়।
পুজোর ঠিকানা
এবছরে বানেরঘাটার পুজো ফিরছে শ্রী শ্রীনিবাস কল্যাণ মন্তপাতে। ঠিকানা- #১০৪ /১৩ , বিলেকাহাল্লি, দেবনাচিক্কারাহালিল মেন রোড, বেঙ্গালুরু ৭৬। উল্লেখ্য, গত বছর এই পুজো আনেকল তালুকে আয়োজিত হলেও, এবার বেঙ্গালুরুর পুরনো জায়গাতেই ফিরেছে বানেরঘাটার পুজো।
বিশেষ আকর্ষণ
চিরাচরিত পরম্পরা মেনে এখানে প্রতিবছর আয়োজন করা হয় দুর্গাপুজো। এবছর এখানে উমাকে সাজাতে ১৮ ফুটের বিশেষ জবার মালা আনানো হচ্ছে কলকাতা থেকে। এছাড়াও পুজোর জন্য লাদাখ থেকে আসছে বিশেষ চামড়। এখানের মাতৃমূর্তি সাজবে বিশেষ পদ্মফুলের মালাতেও। সব মিলিয়ে ক্রমেই সাজো সাজো রবে জমে উঠছে বানেরঘাটার পুজো।
পুজোর ভোগ থেকে বরণে আমন্ত্রিত সকলে
বানেরঘাটা পুজোর উদ্যোক্তা প্রিয়া মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রতি বছরের মতো এই বছরেও ভোগের আয়োজন করা হবে পুোদর দিনগুলোতে। আর সেই ভোগের আয়োজনে সকলকেই আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে। ভোগের স্বাদ নিতে গেলে কোনও রকমের টিকিট বা কুপন বুকিং-এর প্রয়োজন পড়ে না।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
প্যান্ডেলে গিটার বাজিয়ে গান, কিংবা জমজমাট ঢাকের সঙ্গে ধুনুচি নাচ, সব কিছুতেই আন্তরিকতার ছোঁয়া পাওয়া যায় বানেরঘাটার পুজোয়। পুজোর অন্যতম সদস্য দেবলীনা বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, সকলকে সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করতেই তাঁরা পছন্দ করেন।
সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের তালিকা
এবছরের ষষ্ঠীর দিন থাকছে ছোটদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সপ্তমীতে অঙ্কন প্রতিযোগিতা, সপ্তমী রাতে করিশ্মা আইয়ার পরিবেশন করবেন ওড়িশি নাচ। অষ্টমী রাতে থাকছে ধুনুচি নাচ, উলুধ্বনি , শাঁখ বাজানোর প্রতিযোগিতা। তালিকা এখানেই শেষ নয়। নবমীর সকালে থাকছে, মিউজিক্যাল চেয়ার, প্রদীপ জ্বালানোর প্রতিযোগিতা। এছাড়াও থাকছে নাচের জমজমাট আসর, 'বঙ্গ পাথর' ব্যান্ডের গান ।