বেঙ্গালুরু ধর্ষণ কাণ্ড : পুলিশ সেদিন পার্ক থেকে মহিলাকে বের করে দেওয়া সত্ত্বেও তিনি ফিরে এলেন কেন?
বেঙ্গালুরু, ১৩ নভেম্বর : ফের বেঙ্গালুরুতে ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। এই নিয়ে গত এক মাসে ৩টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটল। বুধবার রাতে বেঙ্গালুরুর কাবন পার্কে ৩৫ বছরের এক মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় দুই বেসরকারি সংস্খার নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। যদিও তদন্তে উঠে এসেছে, ঘটনার দিন বিকেলেই ওই মহিলাকে পার্কটির বাইরে বের করে দেওয়া হয়েছিল, তাহলে তিনি আবার কেন সেখানে ফিরে এসেছিলেন তা স্পষ্ট নয় তদন্তকারীদের কাছেও।[ বেঙ্গালুরু : প্রাইভেট মিনিবাসে গলায় ছুঁড়ি ধরে গণধর্ষণ কল সেন্টারের কর্মীকে]
বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কর্ণাটক টেনিস লন টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের (কেএসএলটিএ) অফিসে গিয়েছিলেন। অফিসটি কাবন পার্কের ভিতরে অবস্থিত। সেখানে গিয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য আবেদনপত্র চান। ছুটির দিন থাকায় নিরাপত্তারক্ষী তাঁকে আবেদনপত্র হাতে দেওয়ার পর চলে যেতে বলেন। [ সমকামী 'রোগ' সারাতে সন্তানের ধর্ষণ করায় মা-বাবাই!]
কিন্তু কেএসএলটিএ কর্তৃপক্ষের কথায়, তিনি না গিয়ে বরং পার্কিংয়ে গিয়ে বসেন। ওই মহিলাকে আগে কখনও ক্লাবে দেখা যায়নি বলে কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়। [ বাবা, দাদা, কাকার হাতে ২ বছর ধরে ধর্ষিত নাবালিকা, মা বলছেন, 'ওরা তো আপনজন, অপরিচিত তো নয়'!]
নিরাপত্তারক্ষী তাঁকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে তিনি বলেন, সেখানেই তিনি রাতের খাবার খাবেন, ঘুমোবেন তারপর আগামী দিন প্রশিক্ষণ শুরু করবেন। আধিকারিকদের কথায়, অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে দেখে নিরাপত্তারক্ষীরা বারবার তাকে চলে যেতে বলেন, কিন্তু তিনি একগুয়ে, কিছুতেই যেতে চাইছিলেন না। শেষমেষ পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে তাকে পার্ক থেকে বের করে নিয়ে যায়। [২৯ ঘণ্টা ধরে স্বামী ধর্ষণে অভিযুক্ত স্ত্রী!]
গণধর্ষণের ঘটনাটি মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরার পর আধিকারিকরা স্থানীয় থানায় ফোন করে। সেখান থেকে জানানো হয়, পুলিশ তাকে সেখান থেকে নিয়ে গিয়ে কান্তিবীর ইন্ডোর স্টেডিয়ামের কাছে নামিয়ে দেয়। কিন্তু তাদের অনুমান ওই মহিলা তারপর আবার কাবন পার্কে ফিরে গিয়েছিলেন সেদিন। কেএসএলটিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তাদের নিরাপত্তারক্ষীরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়, যে ঘটনাটি ঘটেছে তার জন্য দায়ি কাবন পার্কের নিরাপত্তারক্ষীরা। [ সৎ বাবার হাতে ধর্ষিতা ১১ বছরের মেয়ে জন্ম দিল শিশুকন্যার]
তদন্তকারীরা সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন। [৬ বছর ধরে মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণ বাবার, নীরব দর্শক মা]