
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আধারকার্ড বানিয়ে দেওয়ার গ্যাং-এর পর্দা ফাঁস করল পুলিশ
বেঙ্গালুরু গ্রামীণ পুলিশ জানিয়েছে, তারা একজন সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এবং একজন ফার্মাসিস্ট সহ একটি নয় সদস্যের গ্যাং-এর পর্দা ফাঁস করেছে। যারা বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীদের আধার কার্ড এবং অন্যান্য নাগরিকত্ব-সম্পর্কিত নথি পেতে সহায়তা করেছে৷ পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই গ্যাংটি মাত্র একবছরে ভারত থেকে এক কোটি টাকা বাংলাদেশের মুদ্রায় বদল করে সে দেশে পাচার করেছে৷

পুলিশ জানিয়েছে, চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল, মদনায়কানাহাল্লি থানার সীমানার অধীনে চিক্কাগোল্লারহাট্টি গ্রামে একটি এটিএম থেকে ১৮ লক্ষ টাকা লুট করা হয়েছিল। এ ঘটনায় বাংলাদেশ থেকে শেখ ইসমাইল কিতাব আলীকে আটক করেছিল পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে কিতাব আলী ত্রিপুরা সীমান্ত থেকে অবৈধভাবে ভারতে আসা সৈয়দ আকুন ওরফে শহিদ আহমেদের কথা জানায়। সঙ্গে এও জানায় যে বেঙ্গালুরু শহরে স্ক্র্যাপ ও প্লাস্টিক বর্জ্য কোম্পানি শুরু করেছে শহিদ আহমেদ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা গিয়েছে এই আকুন-ই এজেন্টদের মাধ্যমে ভারতীয় রুপিকে তার অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশি মুদ্রায় রূপান্তর করতেন এবং টাকা নিজ দেশে স্থানান্তর করতেন।
আকুনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, পুলিশ তার ছেলে সুমন ইসলামকে মদনায়কানাহল্লি থানার অন্তর্গত হোট্টাপানপল্যা থেকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় আকুন অন্য সদস্যরা জানিয়েছে যে তারা বিবিএমপি লেটার-হেড, সিল এবং বিবিএমপি স্বাস্থ্য আধিকারিকদের স্বাক্ষর ব্যবহার করে আধার কার্ড পেতেন। আধার কার্ড পাওয়ার জন্য তারা বেঙ্গালুরু ওয়ান সেন্টারে নথি জমা দিতেন এবং আধার কার্ড পেতেন।
প্রসঙ্গত এই গ্যাং-কে জিজ্ঞাসাবাদ করেই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কুল্লার বাসিন্দা মোহাম্মদ আবদুল আলিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ এই আলিমই বিবিএমপি লেটার-হেড এবং সিল ব্যবহার করে অবৈধ অভিবাসীদের আধার কার্ড পেতে সাহায্য করতেন বলে জানা গিয়েছে৷ এই পরিষেবার জন্য, তিনি তাদের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত নিতেন।
যারা ইতিমধ্যেই আধার কার্ড বানিয়েছেন তাদের দেওয়া তথ্য অনুসরণ করেই পুলিশ সুহেল আহমেদ, মোহাম্মদ হিদায়াত, আয়েশা, মোহাম্মদ আমিন সাইত, রাকেশ, সৈয়দ মনসুর এবং ইশতিয়াক পাশা ওরফে মেডিকেল পাশাকে গ্রেপ্তার করেছে, যারা দেবরা জীবনহাল্লি থানা সীমানার বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে যে রাকেশ একজন সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার যিনি করোনার সময় থেকেই সব কাজে যুক্ত৷