For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

কেপটাউনের দশা হতে চলেছে বেঙ্গালুরুর! রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে উদ্বেগ

কেপটাউনের দশাই কি হতে চলেছে বেঙ্গালুরুর। রাষ্ট্র সংঘের একটি রিপোর্টে পানীয় জল নিয়ে বেঙ্গালুরুর ভবিষ্যত সম্পর্কে এমনটাই আশঙ্কাপ্রকাশ করা হয়েছে।

  • |
Google Oneindia Bengali News

কেপটাউনের দশাই কি হতে চলেছে বেঙ্গালুরুর। রাষ্ট্র সংঘের একটি রিপোর্টে পানীয় জল নিয়ে বেঙ্গালুরুর ভবিষ্যত সম্পর্কে এমনটাই আশঙ্কাপ্রকাশ করা হয়েছে।

কেপটাউনের দশা হতে চলেছে বেঙ্গালুরুর! রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে উদ্বেগ

পানীয় জল এবং কী ব্যবহার্য জল নিয়ে নেই নেই রব দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরে। ভবিষ্যতে একই দশা হতে পারে ভারতে তথ্য প্রযুক্তির রাজধানী বেঙ্গালুরুতেও। এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে রাষ্ট্র সংঘের একটি রিপোর্ট।
ভারতের শহরগুলির মধ্যে বেঙ্গালুরুতেই সব থেকে আগে পানীয় জলের অভাব দেখা দেবে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে বেঙ্গালুরু রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। বেঙ্গালুরু ছাড়াও বিশ্বের ১১ টি শহরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে ভবিষ্যতে পানীয় জলের অভাব দেখা দিতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

তালিকার একেবারে ওপরে রয়েছে ব্রাজিলের আর্থিক রাজধানী সাওপাওলো। অন্য শহরগুলির মধ্যে রয়েছে চিনের রাজধানী বেজিং, মিশরের কায়রো( নীলনদের জল শুকিয়ে যাওয়ায়), ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, রাশিয়ার মস্কো, তুর্কির ইস্তানবুল, মেক্সিকো, লন্ডন, জাপানের টোকিও এবং আমেরিকার মিয়ামি।

রিপোর্ট অনুযায়ী, আবহাওয়ার পরিবর্তন, মানুষের পদক্ষেপ এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধিকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০৩০ সাল নাগাদ এই জলের চাহিদা প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে যাবে বলেও জানানো হয়েছে রিপোর্টে।

বেঙ্গালুরু সম্পর্কে বলা হয়েছে, এই শহরের কোনও লেকের জলই পানীয় কিংবা স্নানের উপযুক্ত নয়।

কেপটাউনের দশা হতে চলেছে বেঙ্গালুরুর! রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে উদ্বেগ

অতি দ্রুতগতিতে নগরায়নকে দায়ী করা হয়েছে বেঙ্গালুরুর ক্ষেত্রে। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সেসের পর্যবেক্ষণে জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিক অতি দ্রুতগতিতে নগরায়ন, অসম্পূর্ণ উন্নয়নের কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পরিকল্পনা বিশারদদের সামনেই বিষয়টি চ্যালেঞ্জের হয়ে দেখা দিয়েছে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবুজের হরণ, জলাধার না থাকা, আবহাওয়া পরিবর্তন, গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমণ বৃদ্ধি পাওয়া, সঠিক পরিকাঠামোর অভাবকে এর জন্য দায়ী করা হয়েছে।

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সেসের পর্যবেক্ষণ বলছে ১৯৭৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে বেঙ্গালুরুতে কংক্রিটের পরিমাণ বেড়েছে ১০০৫ শতাংশ।

২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে বেঙ্গালুরু শহরের আয়তন বেড়েছে। আগের ২২১ বর্গ কিলোমিটার থেকে বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪১ বর্গ কিলোমিটারে। যা এখন গ্রেটার ব্যাঙ্গালোর নামেই পরিচিত। ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে শহরের লোকসংখ্যা বেড়েছে ৪৪ শতাংশ। সংখ্যার বিচারে ৪৩ লক্ষ থেকে লোকসংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ৮৪ লক্ষে। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে লোকসংখ্যা ৭৮৮০ থেকে বেড়ে হয়েছে ১১,৩৩৩ জন।

কেপটাউনের অভিজ্ঞতার পর রাষ্ট্র সংঘের রিপোর্টে যথেষ্টই চিন্তিত বেঙ্গালুরুর বাসিন্দারা।

গত ১০০ বছরের মধ্যে এই বছরের কেপটাউন শহরে সবথেকে বেশি জলাভাব। শহরের বাসিন্দাদের প্রতিদিনের জলের ব্যবহার কমাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রশাসন চেষ্টা চালাচ্ছে যাতে এপ্রিল থেকে শহর একেবারে জনশূন্য না হয়ে পড়ে।

English summary
Bengaluru may face water scarcity in near future like Cape Town
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X