সত্যি কথা বলে এই মহিলা পুলিশ অফিসারের যা হাল হল তাতে সৎ মানুষরা আতঙ্কিত হবেন
বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল জেলে শশীকলার দুর্নীতি ফাঁস করে বদলি হল মহিলা পুলিশ আধিকারিক ডি রূপার। তাঁকে পাঠানো হল ট্রাফিক ও রোড সেফটি বিভাগে ।
জেলের মধ্যে এআইএডিএমকে নেত্রী শশীকলা নটরাজনের ঘুষকাণ্ড ফাঁস করার 'পুরস্কার' হাতে - নাতে পেলেন কর্নাটকের ডিআইজি (কারা) ডি রূপা। জেলের সমস্ত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে এবার বেঙ্গালুরুর ট্রাফিক ও পথ নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হল রূপাকে। সেইসঙ্গে বদলি হল ডিজিপি (কারা এইচ এন সত্যনারায়ণ রাওকেও। উল্লেখ্য, শশীকলার ২ কোটি টাকা ঘুষের টাকায় সত্যনারায়ণ রাও লাভবান হয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন ডি রূপা।
বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল জেলে বন্দি এআইএডিএমকে নেত্রী শশীকলা নিজের জন্য় বিশেষ রান্নাঘর ও ভিআইপি ব্যবস্থার জন্য ২ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন বলে গত সপ্তাহেই অভিযোগ করেছিলেন বেঙ্গালুরুর ডিআইজি (কারা) ডি রূপা। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, শশীকলার ঘুষের টাকায় লাভবান হয়েছেন জেলের বেশ কয়েকজন আধিকারিকও। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন ডিজিপি (কারা) সত্যনারায়ণ রাও। কিন্তু ডি রূপার এই সাহসী পদক্ষেপে রাজ্য সরকার একেবারেই খুশি হয়নি। পাল্টা মিডিয়ায় মুখ খুলে তিনি সার্ভিস রুল ভেঙেছেন বলে ডি রূপাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। এমনকী শো-কজ নোটিসও পাঠানো হয় তাঁকে। সৎ ও সাহসী ডি রূপার ভবিষ্যৎ তখনই কিছুটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
সৎ সাহস দেখানোর 'পুরস্কার' তিনি পেয়ে গেলেন সোমবার সকালেই। চলে এল তাঁর বদলির নির্দেশ। জেলের যাবতীয় দায়িত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে বেঙ্গালুরুর ট্রাফিক ও রোড সেফটি বিভাগের ডিআইজি করা হল ডি রূপাকে। তবে বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল জেলে তাঁর পরিবর্তে কাকে পাঠানো হচ্ছে তা বলা হয়নি বদলির নির্দেশে। তবে রূপা একা নন, জেলের যাবতীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল এইচ এন সত্যনারায়ণ রাওকেও। তাঁকে কোথায় পাঠানো হচ্ছে তাও বলা হয়নি বদলির নির্দেশে।