অভিজিতের নোবেল জয় উস্কে দিল বাংলা বনাম গুজরাতের লড়াই
২০১৯ সালে অর্থনীতির জন্য নোবেল প্রাপকদের নাম ঘোষণা হতেই খুশির জোয়ারে ভেসেছে সারা দেশ। কারণ প্রপকদের মধ্যে অন্যতম হলেন ভারতে জন্ম নেওয়া অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। এস্থার ডোফলো ও মাইকেল ক্রেমার সঙ্গে মিলিত ভাবে নোবেল জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করেন অভিজৎ। তবে এই খুশির আবহওয়াতেও বেঁধেছে এক অদ্ভুত লড়াই। বাঙালি বনাম গুজরাতি। মাছ বনাম ধোকলা।

ভারতবাসী অভিজিতের এই কৃতিত্বে গর্ববোধ করলেও কিঞ্চিৎ বেশি গর্বিত বাঙালিরা। কারণ অভিজিৎ তো কলকাতারই ছেলে। আর এই নোবেল জয়ের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় বাঙালি বুদ্ধিদিপ্তীর শুনাম। এই গর্ববোধের মাঝেই শুরু হয় জাত্যাভিমান ও বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠত্ব জাহির করা। পাশাপাশি ধোকলা খাওয়া জাতিকে হেয় করা পোস্টেরও বন্যা বয়ে যায়।
এরকমই একজন টুইটারে লেখেন, "যারা যারা ধোকলা খান, আমরা(বাঙালি) দেশকে ৬টি নোবেল দিয়েছি। একটি অস্কার দিয়েছি। জাতীয় সঙ্গীত। আমরা মাছ, মাংস, বিফ, পর্ক সবই খাই। দয়া করে আপনাদের ধোকলা, খান্ডবি ও থেপলা আমাদের থেকে দূরে রাখবেন। চলে যান।"
এর পাল্টা টুইটও আসে গুজরাতিদের তরফে। সেরকমই এক টুইটে লেখা, "যারা যারা ধোকলাকে কটাক্ষ করছে তাদের জেনে রাখা উচিৎ যে দেশের ৫জন সব থেকে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে ৪জন গুজরাতি। ধোকলাখাদকদের জয়।"
অপর একটি টুইটে এই খাদ্যাভাস নিয়ে লড়াইকে বন্ধ করতে আহ্বান জানিয়ে লেখা হয়, আপনাদের যে যা খেতে চান নির্বিগ্নে খান। তবে দেশবাসীদের মধ্যে এই অহেতুক ঘৃণা ছড়াবেন না। গান্ধী কিন্তু গুজরাতি ছিলেন।"
ভারতে জন্ম নেওয়া এক অর্থনীতিবিদকে ঘিরে যে ভাবে ভারতের দুই প্রান্তের খাদ্যাভ্যাসের লড়াই এক প্রকার অভাবনীয়। এরই মাঝে গতকাল টুইটারে দুটি সবথেকে ট্রেন্ডিং হ্যাশট্যাগে পরিণত হয় ধোকলা ও মাছ(ফিশ)।