মমতা হঠাও-এর ডাক মুম্বইয়ে, বাংলা বিপন্ন বলে মুম্বইবাসী বাঙালিদের মিছিল
২০১৭-তে রাজ্যে বিরোধী কোনও আন্দোলনই সেভাবে দাঁত ফোটাতে পারেনি। তবে বছরের মাঝামাঝি সময়ে বসিরহাটে হিংসার ঘটনা ঘটে। তারই বিরুদ্ধে মুম্বইয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
২০১৭-তে রাজ্যে বিরোধী কোনও আন্দোলনই সেভাবে দাঁত ফোটাতে পারেনি। তবে বছরের মাঝামাঝি সময়ে বসিরহাটে হিংসার ঘটনা ঘটে। তারই বিরুদ্ধে মুম্বইয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বাংলার বাইরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনার মধ্যে একটি।
মমতা হঠাও, বাংলা বাঁচাও। এই স্লোগান রাজ্যের বিরোধীদের মুখে শোনা যায়। কিন্তু এই দাবি এবার শোনা গেল মুম্বইয়ে। সঙ্গে ছিল, 'গণতন্ত্র বাঁচাও, বাংলা বাঁচাও, ভারত বাঁচাও'-এর স্লোগানও। মুম্বইয়ে থাকা এই রাজ্যের কমবেশি ৫০ জন মানুষ মিলিত হয়েছিলেন মুম্বইয়ের চার্চগেট রেলস্টেশন এলাকায়। তাঁদের অভিযোগ ছিল, পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই। রাজ্যে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন বিক্ষোভকারীরা। রাজ্যের পরিস্থিতি কাশ্মীরের দিকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মুম্বইয়ে অর্থনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে কর্মরত সোমেন মুখোপাধ্যায়।
বসিরহাট এবং বাদুড়িয়ার সাম্প্রতিক ঘটনার উল্লেখ করেছেন বিক্ষোভকারীরা। ধর্মীয় মেরুকরণের জেরে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় মুসলিম ভোট পাচ্ছেন বলে দাবি তাঁদের। ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতির জন্যই পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই বলে অভিযোগ করেছেন বিক্ষোভকারীরা। মহারাষ্ট্রে প্রবাসী বেঙ্গলি ফোরাম তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মুম্বইয়ে অর্থনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে কর্মরত সোমেন মুখোপাধ্যায়। একইসঙ্গে সেখানে বসবাসকারী মানুষদের রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করতে তাঁরা চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। মার্কেটিং প্রফেশনাল সুদীপ্ত দাস বলেছেন, ৩৪ বছরের বাম শাসনের পর তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে রাজ্যের অনেক কিছু ভাল হওয়ার আশা করেছিলেন। কিন্তু রাজ্য সব ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি বিক্ষোভকারীদের। শিক্ষা, শিল্প কিংবা কর্মসংস্থানে এই অবস্থা আরও প্রকট বলে জানিয়েছেন তাঁরা। সেলস প্রফেশনাল রাজেশ সরকার বলেছেন, রাজ্যের ২৮ শতাংশ মুসলিমকে খুশি করতে মুখ্যমন্ত্রী বসিরহাটে দাঙ্গার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন। সেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হিন্দুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ, এমনটাই অভিযোগ রাজেশ সরকারের। মুখ্যমন্ত্রীর দল বাংলাদেশিদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। মিছিলে হাজির ছিলেন অবাঙালিরাও। মুখ্যমন্ত্রীর দলের বিধায়করা নন, রাজ্যের মানুষের আশা এখন রাজ্যপালের ওপর বলেই মন্তব্য করেছেন বিক্ষোভকারীরা। অপর এক বিক্ষোভকারী অঙ্কুর ত্রিপাঠীর দাবি, সীমান্তবর্তী রাজ্যে হিসেবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ায় রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত।