অনুমোদন দেননি মমতা, কর্নাটকে আটকে বিক্ষোভে ফুঁসছেন বাংলার শ্রমিকরা
অনুমোদন দেননি মমতা, কর্নাটকে আটকে বিক্ষোভে ফুঁসছেন বাংলার শ্রমিকরা
করোনা সংকটের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর ব্যবস্থা করেছে মোদী সরকার। বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিক, পর্যটকদের ফেরানো হচ্ছে। কর্নাটক সরকারের পক্ষ থেকে বাংলার শ্রমিকদের ফেরানোর জন্য অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই চিঠির জবাব দেননি মমতা। যার জেরে কর্নাটকে আটকে থাকা বাংলার শ্রমিকরা ফিরতে পারছেন না। তার জন্য মমতা সরকারকে দায়ী করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা।
কর্নাটকে বিক্ষোভ বাংলার শ্রমিকদের
কর্নাটকে আটকে রয়েছেন বাংলার শ্রমিকরা। এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার অনুমতি দেননি। যার জন্য তাঁদের রাজ্যে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকেই দায়ী করেছেন তাঁরা। রাজ্যে ফিরতে না পেরে মমতা সরকারকে দায়ী করেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা।
কর্নাটক সরকারের চিঠি
রাজ্যের শ্রমিকদের ফেরানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান সহ একাধিক রাজ্যের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে কর্নাটক সরকার। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনও পর্যন্ত কর্নাটক সরকারের সেই চিঠির জবাব দেয়নি। সেই কারণে কর্নাটকে আটকে থাকা বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরতে পারছেন না।
চাপে পড়ে শ্রমিকদের ফেরাচ্ছে কর্নাটক সরকার
কয়েকদিন আগেই কর্নাটকের বিজেপি সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানো নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। ইয়েদুরাপ্পা পরিযায়ী শ্রমিকদের না ফেরার অনুরোধ জানিয়ে তিনটি শ্রমিক ট্রেন বাতিল করেছিলেন। এই নিয়ে সরব হয় সেখানকার শ্রমিক সংগঠনগুলি। কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে িসদ্ধান্ত বদল করতে বাধ্য হয় কর্নাটকের বিজেপি সরকার।
শ্রমিক ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত
চাপে পড়ে সিদ্ধান্ত বদল করেছে কর্নাটকের বিজেপি সরকার। ৮ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত প্রতিদিন ২টি করে ট্রেন চালানোর কথা হয়েছে সব রাজ্যগুলিকে। বিহার সরকারও একটি করে ট্রেন চালাবে ১৫ মে পর্যন্ত। এদিকে মহারাষ্ট্র থেকে বাংলার শ্রমিকদের ফেরাতে নারাজ পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই নিয়ে একাধিক ক্ষেত্রে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
লকডাউন তোলার বিষয়ে কী ভাবছে কেন্দ্র? মোদী সরকারের কাছে জবাব চাইলেন রাহুল গান্ধী