অযোধ্যার ভূমি পুজোয় অবদান থাকবে বাংলারও, মাটি ও জল যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন পবিত্র স্থান থেকে
আগামী
৫
অগাস্ট
রাম
মন্দিরের
ভূমি
পুজোর
জন্য
পশ্চিমবঙ্গের
বিভিন্ন
পবিত্র
জায়গা
থেকে
মাটি
পাঠানো
হচ্ছে
অযোধ্যায়।
এই
ভূমি
পুজোয়
যোগ
দেবেন
প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র
মোদী।
পবিত্র
মাটি
ও
জল
ভারতের
বিভিন্ন
অংশ
থেকে
অযোধ্যায়
ভিত্তি
প্রস্তর
স্থাপন
অনুষ্ঠানের
জন্য
পাঠানো
হচ্ছে।
ওইদিনই
রাম
মন্দিরের
নির্মাণ
কাজ
শুরু
করা
হবে।
কোচবিহার, নবদ্বীপ, হুগলি সহ বাংলার বিভিন্ন পবিত্র স্থানকে বেছে নেওয়া হয়েছে মাটির অবদানের জন্য। কোচবিহার জেলার ১০টি ভিন্ন ভিন্ন এলাকা থেকে মাটি সংগ্রহ করা হয়েছে। যার জন্য কোচবিহারের বিশ্ব হিন্দু কাউন্সিলে সংকল্প অনুষ্ঠান হয়। ৩ অগাস্ট সেই মাটি শিলিগুড়িতে পৌঁছায় এবং সেখান থেকে সংগ্রহ করে সড়কপথে অযোধ্যায় নিয়ে আসা হয়।
বজরং দলের সদস্য প্রণব সাহা বলেন, 'এই খাঁটি জমি থেকে মাটিও রাম মন্দির নির্মাণের জন্য যাচ্ছে। আমি প্রচণ্ড গর্বিত এবং কৃতজ্ঞ এই বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে।’ হুগলি নদীর ত্রিবেণি সঙ্গমের জলকে পবিত্র স্বীকার করে সেই জল ও মাটি হুগলির বিশ্ব হিন্দু পরিষদ অযোধ্যায় পাঠাবে। ভিএইচপির সহ সভাপতি বিপ্লব অধিকারি বলেন, 'আমরা মাটি ও জল সংগ্রহের জন্য সব ধরনের ধর্মীয় নীতি অনুসরণ করেছি। আমাদের অনেক বংশধর ভগবান রামের মাতৃভূমি উদ্ধারের জন্য আত্মত্যাগ করেছেন এবং আমরা তাঁদের কথা মাথায় রেখে মাটি পাঠাবো এবং তাঁদের আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করব।’
শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান হিসাবে নদীয়ার নবদ্বীপ জনপ্রিয় তীর্থক্ষেত্র। এখানকার নদী থেকে জল ও মাটি অযোধ্যায় পাঠানো হয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সম্পাদক প্রদাপ প্রামাণিক বলেন, 'আমরা পবিত্র মাটি ও জল এখান থেকে সংগ্রহ করে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমি পুজোর জন্য পাঠিয়ে দিয়েছি।’ একইভাবে আসানসোলের অজয় নদী থেকে মাটি ও জল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ রাজধানী এক্সপ্রেসে করে পাঠিয়ে দিয়েছে। ভিএইচপির প্রাদেশিক প্রধান ওম নারায়ণ প্রসাদ বলেন, 'আজকে ৫৫০ বছরের শয়তানকে অযোধ্যা থেকে সরানো হল।’
মহানন্দা ও তিস্তা নদীর জল ও মাটিও শিলিগুড়ি থেকে রাম মন্দিরের নির্মাণের জন্য অযোধ্যায় পাঠানো হয়েছে। দক্ষি ২৪ পরগণার বিশ্ব হিন্দু কাউন্সিলর গঙ্গা থেকে মাটি ও জল পাঠিয়ে দিয়েছে।
দিনাজপুর থেকে ২৮ জুলাই মাটি পাঠানোর কথা থাকলেও এখানে কোনও প্রধান মন্দির বা তীর্থক্ষেত্র না থাকার কারণে এবং বর্তমানে লকডাউনের পরিস্থিতির জন্য পরিকল্পনাটি বাতিল করা হয়।
বীরভূমের পক্ষ থেকে মাটি পাঠানো হয়েছে এই পবিত্র নুষ্ঠানের জন্য। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বীরভূম শাখা তারাপীঠ মন্দিরে রাজকীয় যজ্ঞের আয়োজন করে এবং জল ও মাটি পুজোর পরই অযোধ্যায় পাঠানো হয়। মন্দিরের পক্ষ থেকে নিমাই চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'ধর্মীয় কিছু আচার আচরণের পর আমরা তারাপীঠ থেকে কিছু মাটি পাঠিয়েছি। পুজোতে শ্রী রাম ও ভগবান শিবকে সম্মান জানিয়ে দু’টি ধুতি, সীতাদেবী ও কালী মায়ের জন্য দু’টি শাড়ি ব্যবহার করা হয়েছে। তন্ত্র মতে এই পুজো হয়, আমরা দেবীর নদী দ্বারকা থেকে জল ও তারাপীঠ মহাশশ্মান থেকে মাটি–ছাই সংগ্রহ করে পুজোয় ব্যবহার করেছি।’ বীরভূম থেকে প্রথমে জল ও মাটি কলকাতায় আসবে, তারপর এখান থেকে উত্তরপ্রদেশের জন্য রওনা দেবে।