নারী পাচার উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে রাজ্যে, বলছে রিপোর্ট
নারী পাচার উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে রাজ্যে, বলছে রিপোর্ট
রাজ্যের বাইরে নারী পাচার উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গে। আগে অন্ধ্রপ্রদেশ ছিল শীর্ষে। সেখানে অন্ধ্রপ্রদেশকে ছাপিয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ এবং মহারাষ্ট্র। এমনই উদ্বেগজনক রিপোর্ট উঠে আসছে।
ভিন রাজ্যে পাচার বাড়ছে
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে নারী পাচারের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। গোয়ায় তারমধ্যে সর্বাধিক নারী পাচার হয় পশ্চিমবঙ্গ থেেক। এরপরেই রয়েছে নেপাল। সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া মেয়েদের সংখ্যাই বলে দিচ্ছে রাজ্য থেকে পাচার বাড়ছে। এই উদ্ধার হওয়া মেয়েদের মধ্যে অধিকাংশই উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। গত পাঁচ বছর ধরে গোয়ার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সমীক্ষা চালিয়ে এমনই পরিসংখ্যান পেশ করেছে। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে শুধু মাত্র গোয়া থেকে ৩৫৩ জন পাচার হওয়া মেয়েকে উদ্ধার করেছে সংস্থাটি। এদের অধিকাংশই মহারাষ্ট্র এবং পশ্চিমবঙ্গের বলে জানা গিয়েছে।
নেপাল থেকেও গোয়ায় পাচার বাড়ছে
শুধু মাত্র পশ্চিমবঙ্গ বা মহারাষ্ট্র নয় এই তালিকায় রয়েছে নেপালও। গোয়ায় গত পাঁচ বছরে যে মেয়েদের পাচার করা হয়েছে তার মধ্যে অনেকেই নেপাল থেকে এসেছে। আগে বাংলাদেশ থেকে নারী পাচার হত সর্বাধিক। সেটা অনেকটাই কমে গিয়েছে বলে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অন্ধ্র প্রদেশ সরকারও নারী পাচার রুখতে অনেক পদক্ষেপ করেছে।
কাজ দেওয়ার প্রলোভনে পাচার
পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রথমে মহারাষ্ট্রে পাচার করা হয় মেেয়দের। সেখান থেকে গোয়ায়। মূলক কাজের প্রলোভন দেখিয়েই পাচার করা হয় তাঁদের এমনই জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা। সমীক্ষকরা দেখে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের প্রথমে মুম্বইয়ে পরিচারিকা হিসেবে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে তাঁদের গোয়ায় বড় কাজ দেওয়ার নাম করে নিয়ে আসা হয়।
কলকাতার একাধিক হোটেল রেস্তোরাঁয় যে মেয়েরা পরিচারিকার কাজ করে থাকে তাঁদের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি করে পাচারকারীরা। তার পর বড় কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে গোয়ায় নিয়ে আসা হয়। রাজ্যর এই উদ্বেগজনক নারী পাচারের চিত্র প্রশ্নের মুখে ফেলেছে প্রশাসনিত তৎপরতাকে।
মোবাইল ফোন লক করার প্রক্রিয়াই বলে দেবে আপনার বয়স, বলছে গবেষণা
একাধিক স্বামী থাকলে মহিলারা সুখী হন! বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা