জোট রাজনীতিই ভবিষ্যৎ, কুমারস্বামীর শপথে পরতে পরতে বোঝালেন মমতা-রাহুলরা
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে কার্যত মোদী বিরোধী ঐক্যের রিহার্সাল মঞ্চে পরিণত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন জোট রাজনীতিই ভবিষ্যৎ।
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে কার্যত মোদী বিরোধী ঐক্যের রিহার্সাল মঞ্চে পরিণত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন জোট রাজনীতিই ভবিষ্যৎ। শুধু বুঝিয়েই দিলেন না, সরাসরি তিনি জানিয়ে দিলেন বিজেপিকে দিল্লির ক্ষমতা থেকে সরাতে পথ দেখাবে জোট রাজনীতিই।
কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয় স্থান পাওয়া জেডিএসকে সমর্থনের বার্তা দিয়েছিল দ্বিতীয় স্থান পাওয়া কংগ্রেস। এর নেপথ্যেও ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেসকে তিনি বোঝাতে পেরেছিলেন বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে মানিয়ে চলা দরকার। আর তার জেরেই কর্ণাটকে যে সমীকরণ তৈরি হয়েছিল, তাকে পথিকৃত করেই ২০১৯-এর বিরোধী ঐক্য গড়ার কাজ শুরু হয়ে গেল।
[আরও পড়ুন: বিনি সুতোর মালা গাঁথলেন মমতা! বিরোধী ঐক্যের ছবিতে মোদীর কপালে ভাঁজ]
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করেই বিরোধী জোটের পটভূমি তৈরি করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকল অ-বিজেপি শক্তি এক মঞ্চে মিলিত হওয়া, সকলের হাতে হাত রেখে শপথ গ্রহণে রচিত হল নয়া ইতিহাস। এই ইতিহাসকে পাথেয় করেই বিজেপি দমন চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কুমারস্বামীর শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান সাক্ষী থাকল সমবেত মহাজোটের। বিজেপি বিরোধী জোটকে এক সুত্রে গেঁথে ফেলল কর্ণাটক। শপথের আগে ও পরে দফায় দফায় বৈঠকে বিরোধী ঐক্যের ছবিই দেখা গেল বিধান সৌধে। যে ছবি দেখা গেল মঞ্চে। মঞ্চের বাইরেও সেই একই ছবি, এক সোফায় বসে ঐক্যের আড্ডায় মাতলেন প্রত্যেকে।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, অবশ্যই এই ঐক্যের ছবি বিজেপি শিবিরে উদ্বেগ বাড়িয়ে দেবে, এই ছবি দেখে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়বেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কপালে। কারণ কর্ণাটকের শপথ-মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিজেপি বিরোধী জোটের রিহার্সাল দিয়ে গেলেন তাবড় নেতা-নেত্রীরা। এখন স্রেফ ঘোষণার অপেক্ষা। আর একের বিরুদ্ধে এক লড়াই সমীকরণ তৈরির অপেক্ষা।
এজন্য কংগ্রেসকেই যে মুখ্য ভূমিকা নিয়ে হবে, তাও স্পষ্ট হয়ে উঠল। কেননা জাতীয় রাজনীতিতে বড় শক্তি কংগ্রেসই। হাতে গোনা রাজ্যে ক্ষমতায় থাকলেও, বিজেপির পর এই মুহূর্তে বড় শক্তি কংগ্রেসই। তাদেরই বেশি মানিয়ে চলতে হবে বিভিন্ন রাজ্যের আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে। তবেই একের বিরুদ্ধে এক লড়াই সম্ভব হবে।