প্রশ্ন উঠছে সুরক্ষা নিয়ে, কোভ্যাকসিন সম্মতি ফর্মে সই করতে নারাজ সুবিধাভোগীরা
প্রশ্ন উঠছে সুরক্ষা নিয়ে, কোভ্যাকসিন সম্মতি ফর্মে সই করতে নারাজ সুবিধাভোগীরা
১৬ জানুয়ারি শনিবার গোটা দেশে চালু হয়েছে করোনা ভ্যাকসিনের টিকাদানের কর্মসূচী। তবে টিকাদান প্রক্রিয়া চালু হওয়ার একদিনের মধ্যেই সমস্যা দেখা দিল এই দুই ভ্যাকসিন নিয়ে। বিহার, তামিলনাড়ু ও তেলঙ্গানায় ভারত বায়োটেক কোভ্যাকসিনের টিকাদানের সুবিধাভোগীরা তিন পাতার সম্মতি ফর্মে সই করতে নারাজ বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে বিশ্বের বৃহত্তম করোনা ভাইরাস টিকাদান প্রক্রিয়ার প্রথম দিন এই রাজ্যগুলিতে ৫০ শতাংশেরও কম টিকাদান হয়েছে।
জানা
গিয়েছে
যে,
১৬
জানুয়ারির
পর
কেন্দ্রীয়
স্বাস্থ্য
মন্ত্রী
হর্ষ
বর্ধনের
সভাপতিত্বে
সমন্বয়
বৈঠকে
রাজ্য
সরকার
এই
ইস্যুগুলিকে
তুলে
ধরবে।
আসল
কথা
হল,
করোনা
ভ্যাকসিন
টিকাদানের
জন্য
কোভ্যাকসিনের
চেয়ে
কোভিশিল্ড
ভ্যাকসিন
নিতে
চাইছেন
সবাই।
যার
জেরে
মাত্র
৯৯
জনকে
কোভ্যাকসিনের
ডোজ
দেওয়া
হয়
তামিলনাড়ুতে,
যেখানে
সরকার
প্রথমদিন
৬০০
জনকে
টিকা
দেবে
বলে
স্থির
করেছিল।
টিকাদানের
দ্বিতীয়
দিনও
দুপুর
২
টো
পর্যন্ত
মাত্র
৯০
জনকে
ডোজ
দেওয়া
হয়
রাজ্যে।
অন্যদিকে
১১টি
রাজ্য
যারা
কোভ্যাকসিন
ডোজ
নেওয়ার
জন্য
সম্মতি
প্রদান
করেছে,
সেখানে
মাত্র
ছ’টি
ভ্যাকসিন
কেন্দ্রে
এই
ডোজ
দেওয়ার
কাজ
হয়েছে,
তাও
আবার
তা
সরকারি
হাসপাতালের
মধ্যেই
সীমাবদ্ধ।
রাজস্থানও স্থির করেছিল একদিনে ৬০০ জনকে টিকাদান করবে, কিন্তু সেখানেও ৩১৪ জনকে কোভ্যাকসিন ডোজ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। যদিও এই রাজ্যে ভ্যাকসিন থেকে কোনও বিরূপ ঘটনার খবর এখনও পাওয়া যায়নি, তবুও সুবিধাভোগীরা এখনও এটি নিতে দ্বিধায় ছিলেন। রাজস্থানের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের ডিরেক্টর নরেশ ঠাকরল জানিয়েছেন যে সম্মতি ফর্মটি হিন্দিতে অনবাদ করা হলে তা হয়ত কিছুটা সহায়ক হতে পারে। বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতা ও বিশেষজ্ঞরা কোভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, কারণ এটি এখনও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে।
ভারক বায়োটেকের কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন কোভ্যাকসিন, আইসিএমআরের সঙ্গে যৌথ উধ্যোগে তৈরি করা হয়। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ের ফলের অপেক্ষা না করেই কেন্দ্র এই ভ্যাকসিনে জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন দেয়। এর অর্থ হল, যাঁরা এই ভ্যাকসিনের ডোজ নেবেন তাঁদের তিন পাতার সম্মতি ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং কোন গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া জন্য তদারকি করা হবে। প্রসঙ্গত, কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ওপরেই যে তাদের ভরসা সে কথা চিকিৎসকরা স্পষ্টই জানিয়েছেন। কারণ এই টিকা তিনটি ধাপই পার করেছে। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বলেছেন, দুটি ভ্যাকসিনের মধ্যে বাছাইয়ের কোনও প্রশ্নই নেই।
খেয়েছিলেন করোনা আক্রান্ত বাদুড়ের কামড়! চিনা বিজ্ঞানীর স্বীকারোক্তিতে অস্বস্তিতে জিনপিং সরকার