শীতকালীন অধিবেশনে রাজ্যসভার ৫২.৩০ শতাংশ সময় নষ্ট, সাসপেন্ড হল ১২ সাংসদ
শীতকালীন অধিবেশনে রাজ্যসভার ৫২.৩০ শতাংশ সময় নষ্ট, সাসপেন্ড হল ১২ সাংসদ
চলিত বছরের গত মাসে অর্থাৎ নভেম্বরের শেষের দিকে শুরু হয় শীতকালীন অধিবেশন। শুরু হওয়ার সপ্তাহখানেক পর দেখা যায় দলবিরোধী অশান্তির জন্য রাজ্যসভার ৫২.৩০% সময় নষ্ট হয়েছে। যদিও গত দু’দিনে সংসদের অধিবেশনে যথেষ্ট ভালো ফল হয়েছে। এর জেরে অনেকেই ভাবেন শীতকালীন অধিবেশনের বাকি দিনগুলি নর্মালভাবেই কাজ করতে পারবে।
অধিবেশনে চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু জানান,’আগের বছর বাদল অধিবেশনে আমাদের খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছিল, তা আমরা ভুলিনি। অধিবেশনের শেষ দুদিনে যা ঘটনা ঘটেছিল তার তদন্ত চেয়েছিল ট্রেজারি বেঞ্চ। আমি নানান দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম কিন্তু অনেকেই স্পষ্ট জানিয়ে দেন কোনও তদন্তে শামিল হতে রাজি হয়নি।'
এদিন রাজ্যসভা অধিবেশনে ১২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করে। তারা রাজ্যসভার অধিবেশনে খারাপ আচরণের জন্য তারা রাজ্যসভায় আসতে পারবে না। এবিষয়ে মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বলেন, চলতি বছরের ১১ অগাস্ট সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে সাংসদরা বিশৃঙ্খল আচরণ করেছিলেন। তাঁরা যদি ক্ষমা চান, তাহলে বিষয়টি নিয়ে আবারও বিবেচনা করা যেতে পারে।
আগস্টে অধিবেশন চলাকালীন 'অনিয়ম ও হিংসাত্মক আচরণের' কারণে বর্তমান অধিবেশনের বাকি অংশের জন্য বিরোধী সাংসদদের বরখাস্ত করা হয়েছিল। ১২ জনের মধ্যে কংগ্রেসের ছয়জন, টিএমসি এবং শিবসেনার দুটি করে এবং সিপিএম এবং সিপিআইয়ের একজন করে রয়েছে। বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে মর্মান্তিক সহিংসতার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী নাইডুকে একটি চিঠি লেখার পরে এই স্থগিতাদেশ হয়।
এবিষয়ে প্রহ্লাদ যোশী টুইট করে বলেন, শীতকালীন অধিবেশনে সরকার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল আনতে চায়। তাঁরা যেন ঠিক ভাবে অধিবেশন চলতে দেন। বিতর্কে অংশগ্রহণ করেন। সোশ্যাল হ্যান্ডেলে তিনি আরও লেখেন, 'সরকার যে কোনও বিষয় নিয়ে বিতর্কে তৈরি করতে পারেন। প্রতি প্রশ্নেরই জবাব দেবে সরকারই। আমরা বিরোধীদের কাছে আবেদন করছি তাঁরা যেন অধিবেশন চলতে দেন। বিতর্কে অংশগ্রহণ করেন।'
ইতিমধ্যে বিজেপি সাংসদরা বিরোধী দলগুলির প্ল্যাকার্ড হাতে 'অনিচ্ছাকৃত' আচরণের বিরুদ্ধে শুক্রবার বিক্ষোভ করেছেন। তাদের ’অগণতান্ত্রিক কর্মের’ নিন্দা জানাতে গান্ধী মূর্তির কাছে বিরোধীদের বিক্ষোভ মিছিল করে।