জুনে দেশ ব্যাপী বৃষ্টি! খরিফ শস্য নিয়ে 'চিন্তার ভাঁজ' মোদী সরকারে
দেশে নির্দিষ্ট সময়ের আগে বর্ষা এলেও প্রথম মাস অর্থাৎ জুনে তা ছিল অনিয়মিত। ফলে দেশব্যাপী স্বাভাবিকের থেকে ৫ % বৃষ্টি কম হয়েছে। যা খরিফ শস্যের ফলনে বাধা তৈরি করতে পারে।
দেশে নির্দিষ্ট সময়ের আগে বর্ষা এলেও প্রথম মাস অর্থাৎ জুনে তা ছিল অনিয়মিত। ফলে দেশব্যাপী স্বাভাবিকের থেকে ৫ % বৃষ্টি কম হয়েছে। যা খরিফ শস্যের ফলনে বাধা তৈরি করতে পারে। ডাল এবং তৈল বীজের ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই ঘটনা ভোটের আগে দেশের রাজনীতি প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
নির্দিষ্ট সময়ের আগে দেশে বর্ষার প্রবেশ ঘটেছে। পশ্চিমের রাজ্যগুলি যেমন মহারাষ্ট্রে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে কিংবা বর্তমানে হচ্ছেও। যদিও দক্ষিণ থেকে উত্তর ভারতে মৌসুমী বায়ু প্রবেশে প্রায় দু সপ্তাহের বড় ফাঁক তৈরি করেছে।
অনিয়মিত বৃষ্টির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১৬৫.২ লক্ষ হেক্টর চাষের জমি। ফলে সারা দেশে ফসলের পরিমাণ প্রায় ২১% শতাংশ কম হতে পারে। যদিও অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, দেশে ফসল রোঁয়ার কাজ সবে শুরু হয়েছে। যদি কৃষকরা বৃষ্টির স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চাশ শুরু করতে পারেন, তাহলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে। তবে জুন মাসের শেষে গিয়ে বৃষ্টি হওয়ায়, অভাব ১২% থেকে কমে হয়েছে ৫ % । যদি কিছু ফসলের চাষের সময় পিছিয়ে গিয়েছে। যেমন ডালের চাষ কম হয়েছে ৪১% জমিতে। যার পরিমাণ প্রায় ১০.৭ লক্ষ হেক্টর।
আবহ দফতরের অনুমান, জুলাই মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টি হবে। কিন্তু আলাদা ভাবে অনেক আবহবিদ বিষয়টি নিয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন। কেননা জুলাই-অগাস্টেও বৃষ্টি অনিয়মিত হতে পারে। যা চাষের পক্ষে ক্ষতিকারক হয়ে দাঁড়াতে পারে।
আবার সেপ্টেম্বরে বৃষ্টিপাতে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এলনিনো। এমন আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।