অসুস্থ হয়ে জেল হাসপাতালে তাপস পাল, অভিনেতা-সাংসদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল
দুইপর্ব মিলিয়ে সাতদিন সিবিআই হেফজতের পর এবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল ভুবনেশ্বর আদালত। তবে জেলে নয়, রোজভ্যালিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূলের অভিনেতা-সাংসদের স্থান হল জেল হাসপাতালে।
কলকাতা ও ভুবনেশ্বর : সিবিআই হেফাজতে না চাইলেও জামিন অধরাই রয়ে গেল তাপস পালের। দুইপর্ব মিলিয়ে সাতদিন সিবিআই হেফজতের পর এবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল ভুবনেশ্বর আদালত। তবে জেলে নয়, রোজভ্যালিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূলের অভিনেতা-সাংসদের স্থান হল জেল হাসপাতালে। কারণ গুরুতর অসুস্থ তিনি। তাঁর সঠিক চিকিৎসা দরকার, তাই শুক্রবার রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাপস পালকে। তাঁর শারীরিত অবস্থা স্থিতিশীল।
ইতিমধ্যেই তাপস পালকে জেরা করে প্রয়োজনীয় জেরা সেরে ফেলেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁদের হাতে উঠে এসেছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিবিআইয়ের জানার উদ্দেশ্য ছিল, কোন কোন প্রভাবশালী রোজভ্যালি কেলেঙ্কারিতে জড়িত। তাপসকে জিজ্ঞাসা করে যেমন অনেক রাজনৈতিক যোগসূত্র পেয়েছে সিবিআই, তেমনি অনেক গ্ল্যামার কুইন যোগসূত্রও মিলেছে।
সিবিআই জানতে পেরেছে, তাপাস পালকে ভুয়ো সংস্থার ডিরেক্টর করা হয়েছিল। রোজভ্যালি ফিল্ম ডিভিসনের অ্যাডভাইসারি বোর্ডে নাম কোনও সংস্থা আদতে ছিল না বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। রোজভ্যালির ব্যবসা বাড়াতে কাদের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল, তা জানার পরই আর তাপস পালকে নিজেদের হেফাজতে চাওয়া হয়নি।
তাপস পালের আইনজীবীর তরফে তাঁর জামিনের আবেদন করা হয়। পরোক্ষে সিবিআই জেল হেফাজতের আর্জি জানিয়েছিল। কারণ হিসেবে সিবিআই আইনজীবীরা জানিয়ছিলেন, বাইরে গেলে তাপস পাল তদন্ত প্রভাব খাটাতে পারেন। তারপরই জামিনের আর্জি খারিজ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।