বিতর্কিত এলাকা নিয়ে নতুন দাবি চিনের, মানচিত্র প্রকাশ
ভারতই অনুপ্রবেশকারী, ভারত-ভূটান-চিন সীমান্তের ডোকলার মানচিত্র প্রকাশ করে দাবি চিনের। চিনের পদক্ষেপ ১৯৯৮-এর চিন-ভূটানের চুক্তি এবং ২০১২-র ভারত-চিন চুক্তির পরিপন্থী, দাবি ভারত ও ভূটানের
ভারতই তাদের জমির দখলদার। অনুপ্রবেশকারী। ভারত-ভূটান-চিন সীমান্তের ডোকলা মালভূমিতে প্রায় ৮৯ বর্গ কিলোমিটার এলাকা ভারত দখল করে রেখেছে বলে দাবি করল বেজিং। দাবির সমর্থনে একটি মানচিত্রও প্রকাশ করেছে চিন।
তাদের দাবি, ১৮৯০ সালে সিকিম এবং তিব্বতের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী ওই এলাকা তাদের। মানচিত্রে তিন দেশের সীমানা যেখানে মিলেছে, তার বেশ কিছুটা দূরে নতুন সীমানার রেখা টানা হয়েছে মাউন্ট গিপমোচিতে।
চিনের প্রকাশিত মানচিত্রে একটি নীল রেখা দিয়ে দেখানো হয়েছে, ডোকলা মালভূমি এলাকা দিয়ে ভারত অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের দাবি, মাউন্ট গিপমোচি থেকে শুরু হওয়া সীমান্ত রেখা পার করে চলে এসেছে ভারতীয় সেনা।
চিনা সেনাবাহিনীর বাঙ্কার ধ্বংসের দাবির প্রেক্ষিতে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা রয়েছে। এরই মধ্যে চিন যে নতুন মানচিত্রপ্রকাশ করেছে, তাতে বিতর্কের সঙ্গে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়বে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
২০১২ সালে ভারত-ভূটান-চিনের ওই সংযোগস্থল নিয়ে ভূটানের সঙ্গে কথা বলেই বিষয়টির নিষ্পত্তির ব্যাপারে সমঝোতায় পৌঁছেছিল নয়াদিল্লি এবং বেজিং। সেক্ষেত্রে গিপমোচিতে সীমানার প্রস্তাব ভারত যে মানবে না তা ভাল করেই জানে চিন।
সেক্ষেত্রে নিজেদের আগের অবস্থান থেকেই চিন সরে এসে এলাকার দাবি করতে চাইছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রাস্তা তৈরি নিয়ে সীমান্তে সম্প্রতি যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে ভূটানের সঙ্গে কথা চলছে ২০০২ সাল থেকে। ভূটান ও চিনের মধ্যে বিরোধও রয়েছে বিষয়টি নিয়ে।
১৯৯৮ সালে চিন ও ভূটানের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী, উভয় পক্ষই সীমান্ত বিরোধ নিয়ে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পক্ষে মত দিলেও,বিতর্কিত এলাকা নিয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার কথাই বলেছিল।
ভারত এবং ভূটান মনে করছে সীমান্তে রাস্তা তৈরিকে সামনে রেখে চিন সেই অবস্থান থেকে সরে আসতে চেয়ে চুক্তির বিরোধিতাই করছে। কিন্তু মানচিত্র প্রকাশ করে এলাকা নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই বলে মতপ্রকাশ করতে চাইছে বলে মনেকরছেন বিশেষজ্ঞরা।