কারা দাঙ্গাবাজ, বাদল অধিবেশনের আগে তরজায় উত্তপ্ত রাজনীতি
সংসদ বাদল অধিবেশনের আগে, কংগ্রেস এবং বিজেপি দাঙ্গা ইস্যুতে তরজা শুরু করেছে।
লোকসভা ভোট যতই এগিয়ে আসছে ততই উত্তাপ বাড়ছে রাজনীতির। বিজেপি নেত্রী তথা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ অভিযোগ করেছিলেন, বিরোধী দলগুলি সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে দেশভাগের মতো অবস্থা তৈরি করছেন। এরপর ২০১৯ সালের আগে যদি কোনও দাঙ্গা হয় তার দায় নিতে হবে কংগ্রেসকেই। কংগ্রেস সব অভিযোগ উড়িয়ে জানালো, দাঙ্গা হলে তার দায় সরকারকেই নিতে হয়। বিজেপি আসলে ননইস্যুকে ইস্যু করে আসল ইস্যুগুলি এড়াতে চাইছে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষ বাদল অধিবেশন যে বিভিন্ন ইস্যুতে উত্যপ্ত হবে তা বোঝাই যাচ্ছে। প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকেই তরজা শুরু হয়ে গেল কংগ্রেস-বিজেপির। এক উর্দু পত্রিকায় রাহুল গান্ধীর বয়ানে বলা হয়েছিল, কংগ্রেস মুসলিমদের দল ছিল, রাহুল তা সংশোধন করতে নেমেছেন। এই মন্তব্য নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির জবাবদিহি চেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। কংগ্রেস মুখপাত্র সুস্মিতা দেব ওই প্রতিবেদনকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, বিজেপি ইচ্ছে করে বিতর্ক তৈরি করে 'সত্যিকারের ইস্যু'-গুলি থেকে সাধারণ মানুষকে দিকভ্রান্ত করতে চাইছে।
কংগ্রেস মুখপাত্র প্রশ্ন তুলেছেন ৫৮ হাজার কোটি টাকার রাফালে বিমান চুক্তি নিয়ে। এটি ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি বলেও অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। এনিয়ে বাদল অধিবেশনে প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে উত্তর দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে কংগ্রেস। তিনি আরও বলেন স্বাধীনতা সংগ্রাম বা সংবিধান তৈরিতে সংগ্রেস দলের কী ভূমিকা ছিল তা সবাই জানে। কাজেই এসব বলে বাজার গরম করার চেষ্টা করে লাভ নেই।
কংগ্রেসের পাল্টা অভিয়োগে উঠে এসেছে ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার প্রসঙ্গও। সেসময় গুজরাতের মুখ্য়মন্ত্রী ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সেই দাঙ্গার দায় তিনি নেননি। কংগ্রেসের দাবি প্রতিটি নির্বাচনের আগে দাঙ্গা বাধানোই মোদীর কৌশল।