নির্বাচন সামনে, তার আগে উত্তরপ্রদেশে আখ চাষিদের রোষের মুখে পড়ছে বিজেপি
নির্বাচন সামনে, তার আগে উত্তরপ্রদেশে আখ চাষিদের রোষের মুখে পড়ছে বিজেপি
উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন শুরু হতে আর বেশিদিন বাকি নেই। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকেই শুরু হতে চলেছে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্য তো বটেই, দেশের ভবিষ্যত নির্ধারণে এই নির্বাচনের গুরুত্ব কতটা, তা আলাদাভাবে বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই নির্বাচনের আগেই রাজ্যের বড় অংশের আখচাষিদের রোষের মুখে পড়ছেন বিজেপি নেতারা। যা কিনা ভোটের আগে কপালের ভাঁজ বাড়াচ্ছে পদ্ম শিবিরের।
২০২৪ এর জন্য ২০২২-এ ইউপি জয় গুরুত্বপূর্ণ!
বরাবরই দেখা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে উত্তরপ্রদেশ। হাতে এই রাজ্যের শাসনক্ষমতা থাকলে অনেকটাই সহজ হয়ে যায় দিল্লি দখল৷ বিজেপি তো বটেই, অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির কাছেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। গত পাঁচ বছর ধরে যোগী শাসন দেখেছে উত্তরপ্রদেশ। কাজেই আগামী নির্বাচন লিটমাস টেস্ট হতে চলেছে যোগী তথা বিজেপির কাছে৷
ক্ষুব্ধ আখ চাষিরা!
বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের মতে, বিজেপির সবচেয়ে বড় চিন্তার জায়গা পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ। সেখানের বিক্ষুব্ধ কৃষকরা খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারেন নিজেদের হাতে। বিশেষত সেখানের আখ চাষিদের মনে যে অসন্তোষ রয়েছে, তা রীতিমতো চিন্তায় রাখছে বিজেপিকে। এবার বোঝা গেল, চিন্তার যথেষ্ট কারণও আছে। উত্তরপ্রদেশের আখ মন্ত্রী সুরেশ রানাকে কালো পতাকা দেখালেন জনগণ৷
কিন্তু কেন এই আখ চাষিদের রাগ?
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ১১৩ টি চিনি উৎপাদনকারী সংস্থা মোট ৪৬৫.৩ লক্ষ টন আখ কিনেছে চাষিদের কাছ থেকে। গত বছরের নভেম্বর থেকে এই বিপুল পরিমাণ শস্য কিনেছে তারা। কিন্তু এই শস্যের দাম বাবদ মাত্র ৯১৫৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। যা কিনা চাষীদের প্রাপ্য দামের মাত্র ৬৯.৯ শতাংশ৷ সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, কোনও কৃষকের কাছ থেকে শস্য কিনলে তার ১৪ দিনের মধ্যে প্রাপ্য দাম দিতে হয় ক্রেতা সংস্থাকে। স্পষ্টতই যে নির্দেশ কিনা মানা হচ্ছে না এক্ষেত্রে৷ শুধু তাই নয়, গত মরশুমের মোট ১৫০০ কোটি টাকাও বাকি পড়ে রয়েছে কৃষকদের।
কৃষকদের বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন বিজেপি নেতারা!
কাজেই বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন জননেতারা৷ শামলীর থানাভবনের বিধায়ক তথা উত্তরপ্রদেশের আখ মন্ত্রী সুরেশ রানাকে কালো পতাকা দেখান তাঁরই বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দারা। এই প্রসঙ্গে রানা বলেন, 'আমি এর আগেও বলেছি, আগের সরকারের তুলনায় বিজেপি সরকার অনেকটাই বেশি কৃষক দরদি৷ এই সরকার রেকর্ড ১৫৫, ৯০০ কোটি টাকা প্রাপ্য মিটিয়েছে কৃষকদের। এমনকি, পূর্বের পাওনাও মেটানো হয়েছে। ২০১৭-১৮, ২০১৮-২০১৯, ২০১৯-২০ তো বটেই। ২০২০-২১ মরশুমের ৯৬ শতাংশ পাওনাও মিটিয়ে দিয়েছি আমরা। এই মুহূর্তে যা বকেয়া রয়েছে, তাও মিটিয়ে দেওয়া হবে শীঘ্রই। কৃষকদের স্বার্থে নিয়োজিত আমি। এখানে বিরুদ্ধ মতের প্রশ্নই নেই।
প্রতীকী ছবি