পুরভোটের আগে তৃণমূলকে তোপ দাগতে গিয়ে বিপাকে সায়ন্তন! উঠল কুরুচিকর প্রসঙ্গ ঘিরে বিতর্ক
পুরভোটের দামমা কার্যত বেজেই গিয়েছে। বাংলার রাজনীতির প্রাঙ্গণ তাতিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক শিবিরগুলির ছোট খাটো প্রচার। আগামী এপ্রিলেই যে ভোট,তা বলাই বাহুল্য। এদিকে,ফের একবার অশালীন ভাষায় তৃণমূলকে আক্রমণ বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর। বিজেপির এই বিতর্কিত নেতা এবার এক কুরুচিকর ইঙ্গিত করেছেন রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে।

কুরুচিকর মন্তব্য সায়ন্তনের
' পাশের বাড়ির ছেলে হলে কারা নাচতে যায় জানেন.. তাঁদের কী বলা হয়? পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের অবস্থা এখন সেরকম।' হুগলিতে এক জনসভায় এই মন্তব্য উঠে আসে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর তরফে। এর আগেও একাধিক মন্তব্য করে সায়ন্তন বসু বিতর্কের আলোয় আসেন। আর এবার পুরভোটের জমি তাতিয়ে নতুন বিতর্কে তিনি।

সি এএ নিয়ে সায়ন্তনের তোপ
সায়ন্তন বসু বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফরকালে দিল্লি হিংসা আসলে ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার নামান্তর। তিনি বলেন, ' যাঁরা সিএএ, এনআরসির বিরোধী কথা বলছেন, যাঁরা শাহিনবাগে অবস্থান করছেন, যাঁরা জাফরাবাদে বিক্ষোভ করছিলেন , তাঁরাই প্রত্যক্ষভাবে এই হিংসার জন্য দায়ী। .. ' উল্লেখ্য, সিএএ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূলের বিরোধিতা বহুদিন ধরেই বিজেপির নিশানায় ছিল। আর পুরভোটের আগে ফের অকবার নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে বিরোধীদের তোপ দাগতে ছাড়েননি সায়ন্তন।

সায়ন্তনকে নিয়ে তোপ তৃণমূলের
হুগলিতে পুরভোটের প্রচার পারদ চড়িয়ে সায়ন্তনের এমন মন্তব্য ঘিরে হুগলির তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব জানিয়েছেন , সায়ন্তন বসুর দলে কোনও প্রয়োজন নেই। তিনি বিজেপিতে 'গুঁতিয়ে ' থেকে গিয়েছেন। দিলীপ যাাদব বলেন, 'ওঁকে কোনও কাজ দিতে হবে বলেই ট্রেনের টিকিট কেটে বিজেপি তাঁকে হুগলি পাঠিয়েছে।'

কুরুচি প্রসঙ্গে তৃণমূল
যে কুরুচিকর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে সায়ন্তন বসু তোপ দেগেছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে । আর তা নিয়ে তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, 'উনি আগে ভাল করে রাজনীতিটা শিখুন, তারপর ভাল করে কথা বলতে শিখুন। '