মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের আগেই ইভিএম নিয়ে অতিসতর্ক কংগ্রেস
মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের আগেই ইভিএম নিয়ে অতিসতর্ক কংগ্রেস
ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার মতো দুই রাজ্যে মিটেছে বিধানসভা নির্বাচন পর্ব। ২৪শে অক্টোবর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার হতে চলেছে দুই রাজ্যের ভোট গণনা। এদিকে মহারাষ্ট্রে গণনা শুরুর আগের দিন ইভিএম মেশিন কারচুপির আশঙ্কা প্রকাশ করল 'অতি সতর্ক’ কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই ভোট গণনা কেন্দ্র গুলিতে জ্যামার লাগানোর প্রস্তাব জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠিও দিয়েছেন মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রধান বালা-সাহেব থোরাট।
মহারাষ্ট্র রাজ্য কংগ্রেস নেতারা দাবি করে যে কোনও তারবিহীন মোবাইল ফোন বা ওয়াইফাইয়ের সাহায্যে বৈদ্যুতিন ভোট-গণন যন্ত্রকে প্রভাবিত করা সম্ভব। সমস্ত ভোট-গণনা কেন্দ্রতেই জ্যামার ব্যবহার সুনিশ্চিত করতে এদিন তারা নির্বাচন কমিশনকে একটি লিখিত চিঠিও দেন। মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস প্রধান বালা-সাহেব থোরাট রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের কাছে এক লিখিত বিবৃতিতে জানান, 'দেশের একটা বড় অংশ ইভিএম মেশিন কারচুপির ব্যাপারে শঙ্কিত। তারবিহীন কোনও যন্ত্র যেমন মোবাইল, ইন্টারনেট, সহ ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই ইভিএম মেশিনকে প্রভাবিত করা সম্ভব। তাই আমরা মনে করি ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সমস্ত ভোট-গণনা কেন্দ্রেই যেন জ্যমার লাগানো থাকে।"
প্রসঙ্গত, সমস্ত জনমত সমীক্ষাই এবারের নির্বাচনে বিজেপি-শিবসেনা জোটকেই বিজয়ী হিসাবে দাবি করছে। তাই ভোট গণনার আগে ইভিএম কারচুপির আশঙ্কা প্রকাশ করে কংগ্রেসের এই চিঠি দেওয়াকে 'অতি সতর্ক’ পদক্ষেপ বলে কটাক্ষ করছেন অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞই। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা ভূপেন যাদব কংগ্রেসের এই দাবিতে আমলই দিচ্ছেন না। কংগ্রেস নেতাদের করা দাবিকে 'অবান্তর’ বলে উড়িয়েও দিয়েছেন তিনি।
তবে এই ইভিএম আতঙ্ক যে শুধু কংগ্রেসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ এমনটা নয়। নির্বাচনে দাঁড়ানো অনেক প্রার্থীই এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের উপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারছেন না। মহারাষ্ট্রের ধুলের বিধায়ক অনিল গোটে সদ্য বিজেপি ছেড়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে এবারের ভোটে লড়ছেন। ইভিএম কারচুপি প্রসঙ্গে কংগ্রেসের দাবিকে মান্যতা দিয়ে এদিন তিনি বলেন, 'আমার নির্বাচন কমিশনের উপর নূন্যতম আস্থা নেই। গত পুরসভা নির্বাচনে আমাকে ৮ জন ভোট দিলেও খাতায় কলমে মেলে মাত্র ৩টি ভোট!’