হত্যার আগে দুই মহিলার শরীরের একাধিক অঙ্গ কেটে ফেলা হয়, দাবি কেরল পুলিশের
হত্যার আগে দুই মহিলার শরীরের একাধিক অঙ্গ কেটে ফেলা হয়, দাবি কেরল পুলিশের
মানুষ বলি দেওয়ার ঘটনা মঙ্গলবার প্রকাশ্যে আসে। তিন অভিযুক্তকে কোচি পুলিশ গ্রেফতার করেছে।জিজ্ঞাসাবাদ যত এগোচ্ছে। তত সামনে আসছে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কাহিনী। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, দুই মহিলাকে হত্যা করার আগে তাদের ওপর পাশবিক অত্যাচার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, পদ্ম এবং রোজলিনকে প্রথমে বাঁধা হয়। তারপর তাদের ওপর পাশবিক অত্যাচার করা হয়।
জুন মাসে রেজলিনকে হত্যা করা হয়
জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত দম্পতি ভগবাল সিং ও লায়লা সমস্ত অপরাধ স্বীকার করেছে। ভগবাল সিং পেশায় একজন মেসেজ থেরাপিস্ট। দুজনকে একসঙ্গে হত্যা করা হয়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফেসবুকে শাফির সঙ্গে ভগবাল সিংয়ের পরিচয় হয়। সেখানেই শাফি ভগবাল সিংকে আর্থিক প্রলোভনের লোভ দেখায়। কিন্তু তার জন্য মানুষ বলি দিতে হবে বলে শফি জানায়। আর তাতেই রাজি হয়ে যায় দম্পতি। জুন মাসে তারা রোজলিনকে অপহরণ করে। তাঁকে হত্যা করার পর শফি তাঁর দেহটি টুকরো করে বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় পুঁতে দেয়।
সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় মানব বলি দেওয়া হয়
জুন মাসে বলি দেওয়ার পরেও আর্থিক সমৃদ্ধি না আসার কারণে ফের দম্পতি শফির শরনাপন্ন হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, সেই সময় শাফি ফের একটি মানুষ বলি দেওয়ার নিদান দেয়। সেই সময় পদ্মকে অপহরণ করা হয়। সেপ্টেম্বর মাসে একইভাবে পদ্মকে অপহরণ করে তার খুন করা হয়। পুলিশ পদ্মের নিখোঁজের তদন্ত করতে এসে এই ঘটনা উন্মোচন করে। জেরায় লায়লা জানিয়েছে, দুই মহিলাকে হত্যা করার আগে তাঁদের ওপর নির্যাতন করা হয়।
পদ্মের দেহ রান্না করে খাওয়া হয়
কোচি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, লায়লা রোজেলিনকে খুন করেছে। আর পদ্মকে শাফি খুন করেছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথমে পদ্মকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। তারপর তার দেহ থেকে মাথা আলাদা করা হয়। শফি পদ্মের দেহের মোট ৫৬টি টুকরো করেছিল। হত্যার আগে রেজলিন ও পদ্মকে বেঁধে রাখা হয়েছিল। তারপর প্রথমে তাঁদের স্তন কেটে নেওয়া হয়। এরপর তাদের হত্যা করা হয়। পদ্মের দেহের কিছু অংশ রান্না করে খাওয়া হয়েছে বলে জেরায় লায়লা জানিয়েছে। এই দুই মহিলা আলাদা অঞ্চলের বাসিন্দা হলেও পেশায় তাঁরা লটারি বিক্রেতা ছিলেন। কিন্তু কীভাবে দুই মহিলাকে শাফি দম্পতির বাড়িতে এনেছিল তা জানা যায়নি।
নিখোঁজ পদ্মের তদন্তে নৃশংস হত্যাকাণ্ড
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পদ্মের নিখোঁজের ডায়েরি তাঁর পরিবারের সদস্যরা করেন। সেই বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে শফির সন্ধান পাওয়া যায়। অতীতে শফির বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। শফিকে পুলিশ নজরে রাখা শুরু করে। এরপরেই দুই মহিলার নির্মম পরিণতি প্রকাশ্যে আসে।
আতঙ্কিত প্রতিবেশীরা
এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শিউরে উঠছেন প্রতিবেশীরা। ভগবাল সিংয়ের এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, 'ছোটবেলা থেকেই তাকে চিনি। ভগবাল সিংয়ের বাবা মেসেজ থেরাপিস্ট ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর ভগবাল সেই কাজ কর। ও যে এত নৃশংস হতে পারে কল্পনাও করতে পারছি না। বিশ্বাস করুণ এর নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, তা আমরা জানি না।'
হত্যার পর নিহতদের দেহ রান্না করে খাওয়া হয়, কেরলে মানব বলির ঘটনায় স্বীকারোক্তি অভিযুক্তের