২০২০ বিহার নির্বাচন : জেডিইউ-বিজেপি তিক্ততা কাটাতে মাস্টারস্ট্রোকের পথে পদ্ম শিবির! কোনপথে সমঝোতা
নাগরিকত্ব ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ -এ সংসদের কক্ষে সম্মতি জানিয়েছিল জোট সঙ্গী জেডিইউ।
নাগরিকত্ব ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ -এ সংসদের কক্ষে সম্মতি জানিয়েছিল জোট সঙ্গী জেডিইউ। যে জেডিইউ এর সঙ্গে বিজেপির জোট বিহারে নীতীশ কুমার সরকারকে ধরে রেখেছে। এবার ২০২০ সালের আগে থেকেই নাগরিকত্ব ইস্যুতে কার্যত বিজেপির বিরুদ্ধে গিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন জেডিইউ নেতা তথা তাবড় 'ভোট স্ট্র্যাটেজিস্ট' প্রশান্ত কিশোর। এরপর বিহারে সিএএ লাগু হবে না বলে জানিয়েও দেন নীতীশ। এমন এক পরিস্থিতিতে বিহার নির্বাচনের আগে জেডিইউ-কে 'প্রশান্ত' করতে নয়া গেমপ্ল্যানে হাঁটছে বিজেপি।
মোদী মন্ত্রিসভা ও বিহার নির্বাচন
২০২০ সালে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এবার নীতীশ কুমারের জেডিইউকে সম্ভবত মোদী মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়া হতে পারে। নীতীশের পার্টি থেকে রাজীব রঞ্জন ও রাম চন্দ্র প্রসাদ সিংকে মোদীর মন্ত্রিসভায় মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে খবর।
বিহারের তিক্ততা দিল্লিতে মিটবে!
বিহারে বিজেপি ও জেডিইউএর মধ্যে এই মুহূর্তে প্রবল তিক্ততা ধরা পড়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে জেডিইউ-এর প্রশান্ত কিশোরের একের পর এক তোপ ঘিরে বিহার রাজনীতি ব্যাপক তোলপাড় হয়েছে। প্রশান্তকে পাল্টা তোপ দেগেছেন বিজেপির সুশীল মোদী। এরপরই বিজেপি হেডকোয়ার্টার মনে করেছে জেডিইউ-এর সাংসদেদের মোদী মন্ত্রিসভায় জায়গা দিলে , এই তিক্ততা কমবে। ফলে বিহারে 'অ্যাডভান্টেজ বিজেপি' এরতকমা খোয়াতে হবে না পদ্ম শিবিরকে।
বিহার নির্বাচন লিটমাস টেস্ট!
গত দুই বছরে একের পর এক বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপির ভোট ব্যাঙ্ক। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় হারানোর পর, ভোট অঙ্কে বিজেপি খুইয়েছে মহারাষ্ট্র। ঝাড়খন্ডও সদ্য হাত ছাড়া হয়েছে বিজেপির। এরকম পরিস্থিতিতে বিহারকে কোনও মতেই খোয়াতে চাইছে না বিজেপি।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে জেডিইউ-র প্রাসঙ্গিকতা বিজেপির কাছে
সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে জেডিইউকে সঙ্গে নিয়ে চলা এখন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কারণ , দেশজুড়ে নাগরিকত্ব ইস্যুতে যেভাবে মোদী সরকার বিরোধিতা শুরু হয়েছে, সেক্ষেত্রে বিহারের মাটিতে 'হালে পানি' পেতে জেডিইউ-এর মতোজোট শরিককে বিরাগভাজন হতে দিতে নারাজ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
ইমরানকে কি 'হ্যাপি নিউ ইয়ার' বললেন মোদী! ঢাকা-দিল্লি 'ফোন কল' হলেও ইসলামাবাদের কপালে কী জুটল