তাঁদের দুর্দশা দূর করতে সরকারকে আর্থিক সহায়তার আর্জি পান চাষিদের
তাঁদের দুর্দশা দূর করতে সরকারকে আর্থিক সহায়তার আর্জি পান চাষিদের
করোনা ভাইরাসের কারণে দেশজুড়ে কৃষকদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। কারণ লকডাউন ঘোষণা করার ফলে নাতো তাঁরা ফসল তুলতে পারছেন না সেটা বিক্রি করতে পারছেন। অনেকেই রয়েছেন যাঁরা বাজারে ফসল বিক্রি করতে না পেরে তা নষ্ট করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এরকম পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের পান চাষিরা দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্য সরকারের কাছে। লক্ষ লক্ষ পান চাষি লকডাউনের কারণে অনাহারে মরতে বসেছেন।
সরকারকে সহায়তা করার আর্জি পান চাষিদের
বৃহস্পতিবার সরকারিবভাবে জানা গিয়েছে যে পান চাষিরা তাঁদের উৎপাদনের নুন্যতম মূল্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। লকডাউনের কারণে তাঁদের বিশাল ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। নদীয়া ও মেদিনীপুরের পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগণাতেও প্রচুর পান চাষ করা হয়, প্রায় ৫০ শতাংশ। রাজ্যের পান পাতা কৃষক সমিতির সম্পাদক কার্তিক দাস বলেন, ‘আমরা সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত নুন্যতম সমর্থন চাই। এই সঙ্কট প্রভাব ফেলেছে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত এক লক্ষ পরিবারের ওপর। ভারতে খাওয়া-দাওয়ার পর বিভিন্ন খাবারের পরে পানকে মুখের ফ্রেশনার হিসাবে ব্যবহার করা হয়।'
সরকার নিয়ন্ত্রিত বাজারে কমিশন কম করার আর্জি
দাস জানিয়েছেন, ১৫০০টি পান পাতা ২০০ টাকায় বিক্রি হয়, যেটি স্বাভাবিকের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে অনেকটাই কম। তিনি বলেন, ‘আমাদের শুধু দাবি সরকার নিয়ন্ত্রিত বাজারগুলিতে আমাদের ৫ শতাংশ কমিশন রাখা হোক। দক্ষিণ ২৪ পরগণার কাকদ্বীপ বাজারে আমাদের ৯ শতাংশ কমিশন দিতে হয়।' তিনি জানান, করোনা ভাইরাসের লকডাউনের জেরে মধ্যস্থতাকারীরা ফায়দা তুলছে ও কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
বরজে নষ্ট হচ্ছে পান
জানা গিয়েছে, অসম, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মুম্বইতে পান রপ্তানি হয়। ট্রেনে করে পান যায় সেখানে। কিন্তু রেল বন্ধের ফলে বরজেই নষ্ট হচ্ছে পান। বছরে ছ'মাস ভর্তুকি দিয়ে পান চাষ করে চাষিরা। গ্রীষ্ম থেকে পুজো পর্যন্ত দাম পাওয়া যায় না। পুজোর পর থেকে শীতকাল পর্যন্ত বাজারে পানের চাহিদা থাকে। কিন্তু ঠিক সেই সময়ে এই লকডাউনে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা।