মোদীর অহংয়ের কারণে জওয়ানরা লাঠি চালায় কৃষকদের ওপর, টুইট রাহুল গান্ধীর
দিল্লি সীমান্তে নয়া কৃষি বিল নিয়ে আন্দোলন করার সময় কৃষকদের ওপর লাঠিচার্জ করেন সেনারা। শনিবার এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এই ঘটনার জন্য প্রধানমন্ত্রীকেই দায়ি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সেনারা প্রবীণ কৃষকদের ওপর লাঠিচার্জ করছেন তা একমাত্র নরেন্দ্র মোদীর 'অহং’–এর জন্য। কংগ্রেস নেতা আরও জানিয়েছেন যে কর্পোরেট অফিসে নিজের ছবি তোলার বদলে প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে কথা বলা।

রাহুল গান্ধী শনিবার টুইটারে একটি খুব বেদনাদায়ক ছবি পোস্ট করেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে এক বৃদ্ধ কৃষককে লাঠিচার্জ করছে এক জওয়ান। তিনি হিন্দিতে টুইট করে লেখেন, 'খুবই দুঃখজনক ছবি এটি। আমাদের স্লোগান ছিল জয় জওয়ান, জয় কিষাণ, কিন্তু আজকে কৃষকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে সেনা, শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী মোদীর অহংয়ের জন্য। এটা খুবই বিপদজ্জনক।’ প্রসঙ্গত, পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা ক্রমাগত আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন নতুন কৃষি বিলের বিরুদ্ধে। পুলিশ দিল্লি অভিযান রোখার পর অনেকেই তাঁদের মধ্যে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল স্তব্ধ করে দিয়েছেন। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুর্যেওয়ালা জানান, কর্পোরেট অফিসে প্রধানমন্ত্রী ছবি তুলছেন আর দিল্লির রাস্তায় কৃষকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। টুইটে তিনি বলেছেন, 'বিমানে করে না উড়ে প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল রাস্তায় নেমে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলা।’
শনিবার নরেন্দ্র মোদী কোভিড১৯ ভ্যাকসিনের বিকাশ–অগ্রগতি দেখতে আহমেদাবাদে এসেছেন। কংগ্রেসের আর এক মুখপাত্র অভিষেক সিংভি দাবি করেন যে যাঁরাই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবেন, তাঁদেরই জঙ্গি অ্যাখা দেওয়া হবে। দলের নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও একই ছবি টুইট করে জানান যে সরকার যদি কৃষক বিরোধী আইন নিয়ে আসে তবে তা সঠিক, কিন্তু কৃষকরা যখনই তাঁদের কথা শোনাতে দিল্লি যান সেটা ভুল। এদিকে কৃষক আন্দোলনে একে একে যোগ দিচ্ছেন রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা। গতকাল দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে কৃষকদের 'লং মার্চে’ প্রবল অশান্তির পর প্রশাসনের তরফে কৃষকদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে দিল্লিতে প্রবেশ করার। পুলিশের পক্ষ থেকে উত্তর দিল্লির ময়দানে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। সিঙ্ঘু সীমান্তে ক্রমেই কৃষকদের সংখ্যা বাড়ছে এবং তাঁরা জাতীয় রাজধানীর বড় ময়দান সন্ত নিরানকারী ময়দানে যেতে অস্বীকার করেছেন।

রাজ্যপালের সম্মতি মিলতেই উত্তরপ্রদেশে চালু 'লাভ জেহাদ’ বিরোধী আইন, বিরোধীদের তোপের মুখে যোগী