পাগড়ি খুলে বেধড়ক মারধর! কৃষক আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় আক্রান্ত কংগ্রেস সাংসদ
কৃষকদের একরোখা মনোভাবের কাছে অবশেষে মাথা নত করে দিল্লি পুলিশ। রবিবারই তাদের প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে ট্রাক্টর মার্চ করার ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এদিকে কৃষক আন্দোলনে যোগদান করায় কংগ্রেস সাংসদের উপর হামলার অভিযোগে সরগরম দিল্লি সীমান্ত। লুধিয়ানার সাংসদ রবনীত সিংহ বিট্টুর উপর হামলার অভিযোগ উঠছে বলে জানা যাচ্ছে।

পাগড়ি খুলে বেধড়ক মারধর
এমনকী রবনীত সিংয়ের পাগড়ি খুলে নিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী দুষ্কৃতীদের হাতে তিনি খুনও হয়ে যেতে পারেন বলে দাবি করেছেন ওই নেতা। তাঁর গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে। তবে গোটা কর্মকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত বলে দাবি করেছে কংগ্রেসও।

জন সংসদ সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথেই হামলা
সূত্রের খবর, এদিন অমৃতসরের কংগ্রেস সাংসদ গুরজিত সিং আউজলা ও দলের বিধায়ক কুলবীর সিং জিরার সঙ্গে গুরু তেগবাহাদুরজি মেমোরিয়ালে ‘জন সংসদ' সভায় যোগ দিতে যান সাংসদ রবনীত সিংহ। তখনই তাদের উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ।এমনকী দলীয় কর্মীরা তাকে রক্ষা করার চেষ্টা করলেও লাঠিসোটা নিয়ে তাঁর এসইউভি-র উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা।

ফেসবুক পোস্টেও হামলার কথা জানান রবনীত
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রবনীত পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিয়ন্ত সিংহের পৌত্র। ১৯৯৫ সালে খুন হন বিয়ন্ত সিংহ। এদিকে বেশ কিছু দিন ধরে দিল্লির যন্তরমন্তরে নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ধর্নায় বসেছিলেন রবনীত, গুরজিত এবং কুলবীর। ওয়াকিবহাল মহলের মতে তারপর থেকেই দুষ্কৃতিদের টার্গেট হয়েছিলেন রবনীত। এই ঘটনা তারই প্রতিফলন। অন্যদিকে নিজের ফেসবুক পোস্টেও গোটা ঘটনার কথা বিস্তারিত জানিয়েছেন রবনীত।

সিঙ্ঘুতে বাড়ছে উত্তেজনা
এদিকে সম্প্রতি সিঙ্ঘু সীমান্তে এক আগ্নেয়াস্ত্র সহ মুখোশধারী ব্যক্তির ধরা পড়া নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আন্দোলনরত কৃষকদের মধ্যে। ওই ব্যক্তির দাবি চার কৃষক নেতাকে খুন করতেই নাকি সিঙ্ঘুতে গিয়েছিল সে। পাশাপাশি পাকিস্তানের মাটিতে বসে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বিশৃঙ্খলা ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই বিষয়েও কৃষকদের সতর্ক করে পুলিশ।
দিল্লির পর মুম্বই, কৃষকদের 'লাল ঝড়' বাণিজ্যনগরীতে! সমর্থনে পথে শরদ পাওয়ারও