গিজার বন্ধ করতে ভুলে যাওয়ায় বেদম মারধর স্বামীর, অপমানে যন্ত্রণায় আত্মঘাতী গৃহবধূ!
হায়দ্রাবাদ, ১৩ ফেব্রুয়ারি : গিজার বন্ধ করতে ভুলে যাওয়ায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার স্বামীর হাতে বেদন মার খেতে হয়েছিল। শ্বশুর শাশুড়ি সামনেই অত্যাচার চলতে থাকলেও কেউ বাধা দেওয়ার চেষ্টা পর্যন্ত করেনিন। দুই ছেলের (একজনের বয়স ছয় অন্যজন চার বছরের) এই অপমান সহ্য করতে না পেরে অবশেষে আত্মঘাতী হলেন হায়দ্রাবাদের গৃহবধূ।
গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্য করেন ৩১ বছরের সুশ্রুতা। তবে তার কয়েক ঘন্টা আগে নিজের বাবাকে একটি এসএমএস করেন তিনি। তাতে জানিয়ে যান স্বামী মোহন রাও কীভাবে রাখে বাথরুম থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে এনে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে। সামনে শ্বশুর শাশুড়ি চুপচাপ দাঁড়িয়ে তা দেখছিলেন বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন সুশ্রুতা।
এর পরে ফোনও বাবার সঙ্গে কথা বলেন সুশ্রুতা। তাকে কীভাবে মারধর করা হয়েছে সে বিষয়ে বাবা মাকে বিস্তারে জানান তিনি। সুশ্রুতার বাবা সত্যেন্দ্রনারায়ণ বলেন, তিনি খুব তাড়াতাড়ি গিয়ে মেয়েকে নিজের কাছে ফিরিয়ে আনবেন। কিন্তু নালগণ্ডা থেকে হায়দ্রাবাদ পৌঁছতে দেড় ঘন্টা লাগে। মাঝপথেই ফোনে মেয়ের মৃত্যুর খবর পান।
সুশ্রুতার বড়ছেলেও পুলিশের কাছে বয়ান দিয়েছে যে তার বাবা মাকে প্রচণ্ড মারধর করেছিল। পুলিশ ইতিমধ্যে মোহন রাও ও তার বাবা-মাকে গ্রেফতার করেছে।
যদিও সুশ্রুতার বাবার অভিযোগ তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। মোহনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়েরও করেছে পরিবার। পরিবারের তরফে এও অভিযোগ করা হয়েছে যে যৌতুকের লোভে সুশ্রুতার উপর তার স্বামী ও পরিবার মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাত দীর্ঘদিন ধরে।