একাধিক ইস্যুতে দেশজোড়া আন্দোলন হোক বা পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি, হিংসা! একনজরে অস্থিরতায় মোড়া ২০২০
একাধিক ইস্যুতে দেশজোড়া আন্দোলন হোক বা পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি, হিংসা! একনজরে অস্থিরতায় মোড়া ২০২০
২০১৯ সালের দ্বিতীয় দফায় মোদী সরকারের ক্ষমতায় দখলের পর থেকেই ভারতের আকাশে ধীরে ধীরে পুঞ্জিভূত হতে শুরু করে বিক্ষোভের মেঘ। পরবর্তীতে ২০২০ সিএএ হোক বা এনআরসি পড়তেই মোদী সরকারের একাধিক নীতির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী গর্জে ওঠে সাধারণ মানুষ। বর্তমানে বছরের শেষের পথে এগোলেও কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবি এখনও অগ্নিগর্ভ গোটা দেশ।
সিএএ-এর প্রতিবাদে উত্তাল হয় গোটা দেশ
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর সংসদে পাস হয়েছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। তারপর থেকেই সিএএ-এর প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। নাগরিকত্ব হারানোর আশঙ্কায় অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বড় অংশের মানুষেরা। রাস্তায় নামে আম-আদমিও। দিল্লির শাহিনবাগের হাত ধরেই ক্রমেই বাড়তে থাকে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের ঝাঁঝ।
সিএএ বিরোধী আন্দোলেনর মাঝেই বড়সড় সাম্প্রদায়িক হিংসার কবলে দিল্লি
এদিকে দেশব্যাপী সিএএ, এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের মাঝেই ব্যাপক হিংসা ছড়ায় গোটা দিল্লিতে। সাম্প্রদায়িক হানাহানির কবলে পড়ে উত্তর দিল্লির একটা বড় অংশ। সিএএ পন্থী ও বিরোধীদের মধ্যে প্রথম সংঘর্ষ বাঁধতে দেখা যায় চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি। তারপর থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজধানী। সরকারি হিসাবে গোটা হিংসার ঘটনায় মারা যান প্রায় ৫৩ জন, আহত ২০০-র বেশি।
বছর শেষের মুখে দাঁড়িয়েও ক্রমেই বাড়ছে কৃষতক আন্দোলনের তীব্রতা
এদিকে বছর শেষের মুখে দাঁড়িয়েও ফের উত্তাল হয়েছে গোটা দেশ। কেন্দ্রের নয়া তিনটি কৃষি বিল বাতিলের দাবি প্রায় ২২ দিনেরও বেশি সময় ধরে দিল্লি সীমান্তে অবস্থান করচেন ১০ লক্ষের বেশি কৃষক। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টেম্বরে সংসদে পাশ হয় কৃষি বিল। তারপর রাষ্ট্রপতি রামথান কোবিন্দ বিলে সই করার পরেই তা আইনে পরিণত হয়। পরবর্তীতে নভেম্বরের পর থেকেই এই কৃষি আইনকে কৃষ বিরোধী অ্যাখ্যা দিয়ে গোটা দেশজুড়েই সংগঠিত আন্দোলনে নামে কৃষকরা।
সুশান্ত সিং মৃত্যু মামলায় বাড়ে রাজনৈতিক চাপানৌতর
একাধিক ইস্যুতে দেশজোড়া আন্দোলনের মাঝেই জুনে বলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর নতুন করে মাথাচাড়া দেয় একাধিক বিতর্ক। জলঘোলা হয় রাজনৈতিক ময়দানেও। পুলিশি তদন্ত নিয়ে সংঘাতে সরাসরি সংঘাতে জড়ায় মহারাষ্ট্র ও বিহার সরকার। মুখ পোড়ে মুম্বই পুলিশের। এদিকে বিহার ভোটের কথা মাথায় রেখে সুশান্ত মৃত্যুকে ঢাল করে ঘোলাজবে মাছ ধরতে নেমে পড়তে দেখা যায় বিভিন্ন দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে।
সোনা পাচার কাণ্ডে মুখ পোড়ে কেরল সরকারের
অন্যদিকে এই বছরেই সোনাপাচার কাণ্ডে মুখ পোড়ে কেরলের বাম সরকারের। নাম জড়ায় উচ্চপদস্থ সরকারি আমলার। ঘটনার সূত্রপাত গত ৪ঠা জুলাই। সূত্রের খবর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে বেআইনিভাবে ৩০ কেজি সোনা নিয়ে আসা হয় কেরলের তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরে। এই সোনার বাজারমূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। পাচারের উদ্দেশ্যেই তা আনা হচ্ছিল বলে খবর। ঘটনায় নাম জড়িয়েছে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দফতরেরও। ওই দফতরের প্রধান সচিবকে সরিয়েও দেওয়া হয়। ঘটনার তদন্তভার যায় এনআইএ-র হাতে।
করোনা সম্পর্কিত ১০টি শব্দ, যা বছরের সেরা শব্দ হিসাবে স্থান পেয়েছে বিভিন্ন অভিধানে