শিশুদের যক্ষ্মা রোগের ভ্যাকসিন কোভিড থেকে থেকে সুরক্ষা দেবে, দাবি নতুন সমীক্ষার
কোভিড থেকে সুরক্ষা দেবে বিসিজি ভ্যাকসিন
করোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষকদের বিভিন্ন ধরনের গবেষণা প্রকাশ্যে আসছে। এই মারণ ভাইরাসের ভ্যাকসিন যতদিন না আসছে, ততদিন অন্য রোগের ওষুধ এই ভাইরাসকে আদৌও কাবু করতে পারে কিনা সেটাই গবেষণা–পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা হচ্ছে। সম্প্রতি নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে শিশুদের যক্ষ্মা রোগের ভ্যাকসিন বিসিজি মানুষকে করোনা ভাইরাস থেকেও সুরক্ষা দিতে সক্ষম।
বিসিজি দ্রুত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
উত্তরপ্রদেশের নয়ডার কোভিড-১৯ হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ রেণু আগরওয়াল জানিয়েছেন যে বিসিজি ভ্যাকসিন খুব দ্রুত দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ইন্ডিয়ান জার্নালে এই নতুন সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। এই সমীক্ষার প্রথম পর্যায়ে, ৩০ জন মেডিক্যাল ও প্যারামেডিক্যাল কর্মী, যাঁরা নয়ডা জেলা হাসপাতালে কোভিড ডিউটি করছিলেন, তাঁদের এপ্রিল মাসে এই বিসিজি টিকা প্রদান করা হয় এবং এখনও পর্যন্ত তাঁদের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েনি। ৫০ জনের দলকে যেখানে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি, তাঁদের মধ্যে ৮ জনের পজিটিভ ধরা পড়েছে।
বিসিজি ভ্যাকসিন হাসপাতালের কর্মীদের
জার্নালে প্রকাশিত আর্টিকাল অনুযায়ী, গত ১ মে ডাঃ রেণু আগরওয়াল ৮০ জনের একটি দল গঠন করেছিলেন। এই দলের মধ্যে, ৩০ জনকে বিসিজি ভ্যাকসিন দেওয়া হয় এবং বাকি ৫০ জনকে ভ্যাকসিন না দিয়েই কোভিড-১৯ হাসপাতালে কাজ করতে বলা হয়। আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে ওই কর্মীদের প্রত্যেক ১৫ দিন অন্তর করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়। একমাস পর, যে ৫০ জন কর্মীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি, তাঁদের মধ্যে ১৬ জন সংক্রমিত হন।
বারংবার এই ভ্যাকসিন পরীক্ষা করা হয়েছে
এর পাশাপাশি ১৩০ জনের দ্বিতীয় দল গঠন করা হয় ২৪ অগাস্ট এবং তাঁদের মধ্যে ৫০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। কোভিড-১৯ ডিউটি করা ওই ৫০ জন কর্মী এখনও পর্যন্ত সংক্রমিত হননি। তবে ৮০ জন কর্মী, যাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি, তাঁদের মধ্যে ২০ জনের ফল পজিটিভ এসেছে। ডাঃ আগরওয়াল জানিয়েছেন যে তিনি নিজেও বিসিজি ভ্যাকসিন নিয়েছেন এভং করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে দূরে রয়েছেন।
কর্মীরা এখনও কাজ করছেন হাসপাতালে
যে সব কর্মীদের বিসিজি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ জনই ডায়বেটিস, হাইপারটেনশন ও অন্যান্য গুরুতর রোগ ছিল। এই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বিসিজি ভ্যাকসিনের প্রভাব একমাস পর কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছিল। এটা উল্লেখযোগ্য যে এখনও পর্যন্ত কোনও কর্মী গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে যাননি এবং এখনও তাঁরা কোভিড-১৯ হাসপাতালে কাজ করে চলেছেন।
পুরনো অ্যান্টিবডির সাহায্যেই রেহাই মিলবে মারণ করোনার হাত থেকে? আশা দেখাচ্ছে নয়া গবেষণা