বেঙ্গালুরুতে ৫০০ জন শিশু কোভিড পজিটিভ, আতঙ্কিত অভিভাবকদের আশ্বস্ত করল বিবিএমপি
বেঙ্গালুরুতে ৫০০ জন শিশু কোভিড পজিটিভ
বেঙ্গালুরুতে শিশুদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা রীতিমতো চিন্তায় ফেলেছে। অগাস্টের প্রথম দুই সপ্তাহে প্রায় ৫০০ জন শিশু কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত হয়েছে, যা অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন যে তবে কি তৃতীয় করোনা ওয়েভ এসে গিয়েছে।
বহু শিশু করোনায় আক্রান্ত
প্রসঙ্গত, কর্নাটক সরকার পরিকল্পনা করছেন যে এই মাসেই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য স্কুল পুনরায় খুলবেন। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমশই জটিল হয়ে চলেছে। বিবিএমপি কোভিড-১৯ ওয়ার রুম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ০-৯ বছর বয়সের গোষ্ঠীর ৮৮ জন শিশু এবং ১০-১৯ বছর বয়সী গোষ্ঠীর ৩০৫ জন শিশুর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ৪৯৯টি নতুন কেসের মধ্যে গত পাঁচদিনে ধরা পড়েছে ২৬৩টি কেস এবং এর মধ্যে ৮৮ জনের বয়স ৯ বছরের নীচে এবং ১৭৫ জনের বয়স ১০-১৯ বছরের মধ্যে।
কোনও শিশুর মৃত্যু হয়নি
বিবিএমপির বিশেষ কমিশনার রণদীপ ডি জানিয়েছেন যে করোনা কেসের সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু তা আশঙ্কাজনক হওয়ার মতো পর্যায়ে যায়নি। বিবিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'আমরা পরিসংখ্যানের দিকে নজর রাখছি এবং জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ এবং অগাস্টের প্রথম সপ্তাহের সংখ্যা, এবং এটা খুবই স্পষ্ট যে সংক্রমিত মামলার শতকরা হার, যদি আমরা ০-১৯ ব্র্যাকেটের দিকে তাকাই তাহলে তা ১৪ শতাংশের নিচে।' রণদীপ ডি এও জানিয়েছেন যে বিবিএমপি প্রত্যেকটা হাসপাতালে খোঁজ নিচ্ছে যদি কোনও গুরুতর উপসর্গ নিয়ে কোনও শিশু ভর্তি হয়েছে কিনা, তবে দেখা গিয়েছে এ অধিকাংশ শিশুই উপসর্গহীন বা মাঝারি উপসর্গ রয়েছে এবং বাড়িতেই চিকিৎসা করা যায় তাদের। তিনি এও জানান যে গত দশদিনে কোনও শিশুর মৃত্যু হয়নি।
শিশুরা কোভিড বিধি মানে না, নেই টিকাকরণ
কমিশনার বলেন, 'যখন আমরা ক্লাস্টারে আরও পরীক্ষা করেছিলাম, আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে পজিটিভ অভিভাবকদের মাধ্যমেই শিশুদের মধ্যে করোনা ছড়াচ্ছে বা এর উল্টোটাও হতে পারে, যেখানে শিশুরা বাইরে যাচ্ছে, বাড়িতে ফিরছে এবং অভিভাবকদের সংক্রমিত করছে। তাই ক্লাস্টারগুলি বেশি করে পরীক্ষা করা দরকার, আমরা সংক্রমিত আরও বাচ্চাদের সনাক্ত করার প্রবণতা রাখি এবং তারা মূলত উপসর্গহীন।' মণিপাল হাসপাতালের শিশুদের সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অর্চনা এম জানিয়েছেন যে শিশুরা অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে মেলামেশা করে এবং কোভিড-যথাযথ আচরণ মেনে চলে না এবং তাদের টিকা নেওয়াও নেই। তিনি বলেন, 'যদি অভিভাবকদের টিকাকরণ হয়ে গিয়ে থাকে তাঁরা হয়ত উপসর্গহীনভাবে তাঁদের শিশুদের মধ্যে ভাইরাসটি ছড়িয়ে দেন। শিশুদের টিকা নেওয়া থাকে না বলে তাদের উপসর্গ দেখা দেয়। এটি এখানে অন্তর্নিহিত পরিস্থিতি হতে পারে।'
শিশুদের অ্যান্টিবডি
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে দ্বিতীয় ওয়েভের মধ্যে যেসব শিশুদের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে তাদের সংখ্যা প্রায় প্রাপ্তবয়স্কদের সমান। অতএব, শিশু এবং তাদের বাবা-মা উভয়েরই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।