একেই বলে প্রেম! মন ভাঙতে চান না কারও, দুই প্রেমিকাকেই একই দিনে বিয়ে করলেন এই ব্যক্তি
বিচিত্র এই পৃথিবী। যেখানে সম্ভব সবকিছুই। এক ব্যক্তি প্রেমে পড়েছেন, তবে একজনের নয়, দু’জন মহিলার। না, কোথাও লেখা নেই যে একজনের প্রেমে পড়লে , দ্বিতীয় জনের প্রেমে পড়া যাবে না। আর শুধু তাই নয়, রঙীন মনে ওই ব্যক্তি তিনি তাঁর দু’জন প্রেমিকাকেই বিয়ে করবেন বলে ঠিক করেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ, একই দিনে নিজের দুই প্রেমিকার গলায় মালা দিলেন ওই ব্যক্তি।

আদিবাসী তরুণীর প্রেমে প্রথম পড়েন চন্দু
বিয়ের দিন কিছু বন্ধু-বান্ধব, শুভানুধ্যায়ী এবং মধুর সঙ্গীতে মধ্য দিয়ে এই বিয়ে হল। ৫ জানুয়ারি হওয়া এই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন ৫০০ জন। বিহারের বস্তাররে চন্দু মৌর্যের বিয়ের ভিডিও ও নেমন্ত্রণ পত্র ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই গল্পের সূচনা হয় তিন বছর আগে। সেই সময় ২৪ বছরের চন্দু প্রান্তিক কৃষক ও শ্রমিকের কাজ করতেন মাওবাদী-অধ্যুষিত বস্তারের এক প্রত্যন্ত গ্রামে। সেখানে তিনি টোকাপাল এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি লাগাতে গিয়েছিলেন। সেখানেই চন্দুর সঙ্গে দেখা হয় ২১ বছরের আদিবাসী তরুণী সুন্দরী কাশ্যপের এবং তাঁরা উভয়ই একে-অপরের প্রেমে পড়েন। এরপর তাঁরা ফোনে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখেন এবং বিয়ে করার পরিকল্পনা করেন।

২০ বছরের হাসিনার প্রেমেও পড়েন
একবছর পর ২০ বছরের হাসিনা বাঘেল চন্দুর গ্রাম তিকরালোহনগাতে এক আত্মীয়ের বিয়েতে আসেন। চন্দু আবার প্রেমে পড়েন হাসিনার। হাসিনা যখন তাঁর মনের কথা চন্দুকে জানান, তখন চন্দু নিজেই স্বীকার করেন যে তিনি অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। কিন্তু হাসিনা তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলার জন্য চন্দুকে জোর দেন। পরিবার ও দুই ভাইবোনের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকেন চন্দু। তিনি বলেন, ‘সুন্দরী এবং হাসিনা উভয়ই একে-অপরের বিষয়ে জানত এবং দু'জনেই একসঙ্গে এই সম্পর্কে থাকতে রাজি হয়। আমরা ফোনেই একে-অপরের সঙ্গে কথা বলতাম। কিন্তু একদিন হাসিনা আমার বাড়ি চলে আসে এবং আমার সঙ্গে থাকতে শুরু করে। সুন্দরী সেটা জানতে পেরে সেও চলে আসে আমার কাছে। আর তারপর থেকে আমরা একসঙ্গে একটা পরিবারের মতো থাকতে শুরু করি একই বাড়িতে।'

গ্রামবাসীদের আপত্তিতে বিয়ে করেন চন্দু
কিন্তু কিছুমাস পর গ্রামবাসী ও পরিবারের সদস্যরা চন্দুর দুই মহিলাকে সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকে এবং তখনই চন্দু সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি বিয়ে করবেন দু'জনকেই। চন্দু বলেন, ‘প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়ে গিয়েছিলাম, আমি সিদ্ধান্ত নিই যে আমি দু'জনকেই বিয়ে করব কারণ তারা দু'জনেই আমায় ভালোবাসে। আমি তাদের প্রতারণা করতে পারি না। তারা রাজি হয়েছে আমার সঙ্গে সারাজীবন থাকার জন্য।' হাসিনার পরিবারের সদ্যসরা এই বিয়েতে মত দিয়েছেন এবং তাঁরা বিয়েতে যোগ দেন। কিন্তু সুন্দরীর পরিবার বিয়েতে আসেননি।

বিয়েতে রাজি নয় সুন্দরীর পরিবার
সুন্দরী যদিও জানিয়েছেন যে তাঁর পরিবার এই বিয়ে মেনে নেবেন বলে তাঁর আশা। তিনি বলেন, ‘তাঁরা হয়ত আজকে আমার এই সিদ্ধান্তে খুশি নন কিন্তু একদিন সবকিছু বদলে যাবে। চন্দুর সঙ্গে হাসিনা এবং আমি দু'জনেই খুশি। আমরা চন্দু ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে সারা জাবন থাকব।'
ক্যাপিটল হিল সংঘর্ষে ভারতীয় পতাকা! সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড়