Obstructive Sleep Apnea-তে ঘুমের মধ্যেই চলে গেলেন বাপ্পি লাহিড়ি! ভয়ঙ্কর এই রোগে আক্রান্ত নন তো?
একের পর এক নক্ষত্র পতন! বুধবার সকালে আরও একটি খারাপ খবরে ঘুম ভাঙল দেশবাসীর। প্রয়াত বাপি লাহিড়ী। মঙ্গলবার রাতে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে খবরে কার্যত শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েন বাঙালি। আর এরপর বুধবার সকালে সঙ্গীতজগতের আরও এক ন
একের পর এক নক্ষত্র পতন! বুধবার সকালে আরও একটি খারাপ খবরে ঘুম ভাঙল দেশবাসীর। প্রয়াত বাপি লাহিড়ী। মঙ্গলবার রাতে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে খবরে কার্যত শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েন বাঙালি। আর এরপর বুধবার সকালে সঙ্গীতজগতের আরও এক নক্ষত্র-পতন কিছুতেই যেন মেনে নিতে পারছেন না সঙ্গীতপ্রেমী।
ঘুমের মধ্যেই চলে গেলেন বাপি লাহিড়ী। স্লিম অ্যাপনিয়াতে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। আর সেটাই মৃত্যু ডেকে আনল।
হঠাত শ্বাস আটকে যায়
স্লিম অ্যাপনিয়া এমন একটা রোগ যা ঘুমের মধ্যেই হঠাত শ্বাস আটকে যায় এবং হঠাত করেই ফের আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়। আর এই কারণে শরীরে ঠিক মতো অক্সিজেন পৌঁছয় না। হঠাত করে শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বারবার ঘুম ভেঙে যায়। শুধু তাই নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যে হৃদ স্পন্দন অনেকটাই বেড়ে যায়। আর এই বিষয়টি যদি লম্বা সময় ধরে চলতে থাকে আর ঠিক সময়ে চিকিৎসা না করা হয় তাহলে ভয়ঙ্কর ক্ষতি হতে পারে। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে বলে মত চিকিৎসকদের।
obstructive sleep apnea:
মেডিক্যাল নিউজ টুডে'র মোতাবেক বুকে হঠাত করে এয়ার ব্লক হয়ে যায়। আর সেই সময়টাকে Obstructive sleep apnea- বলা হয়ে থাকে। এই সময়ে এমন মনে হয় যে শ্বাস উপরের দিকে যাচ্ছে না। আর এই সময়ে ডায়াফ্রাম এবং বুকের অন্যান্য অংশ থেকে ভয়ঙ্কর ভাবে Lungs-এ অক্সিজেন টানতে হয়। আর এই সময়ে শরীরের মধ্যে ভয়ঙ্কর একটা দোলাচল তৈরি হয়। আর এই সময়ে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে ভয়ঙ্কর সমস্যা তৈরি হয়। দীর্ঘ সময় ধরে এমন ঘটনা চলতে থাকলে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়।
সবথেকে ঝুঁকির সমস্যা হয় সেই সময়ে যখন অক্সিজেন আটকে যায়। ধীরে ধীরে শরীরের অন্যান্য অংশেও অক্সিজেন আর পৌঁছয় না। আর এতে ভয়ঙ্কর ভাবে হার্ট বিটে প্রভাব পড়ে।
এই সমস্ত ক্ষেত্রে হতে পারে sleep apnea:
যদি দিনের একটা বেশির ভাগ সময়ে ঘুম আসে, ক্লান্ত লাগে তাহলে বুঝতে হবে sleep apnea হয়েছে। যখন আপনি ঘুম থেকে উঠবেন দেখবেন গলা-মুখ সব শুকিয়ে গিয়েছে। সকালে ভয়ঙ্কর ভাবে মাথা যন্ত্রণা থাকলে সেটিও sleep apnea-এরও লক্ষ্মণ। এছাড়াও রাতে ঘুমানোর সময় ঘাম তৈরি হলে, বারবার ঘুম থেকে উঠে পড়া, ঠিক মতো ঘুম না হওয়া।
এছাড়াও sleep apnea ক্রমশ বাড়তে থাকলে নাক ডাকাও ভয়ঙ্কর ভাবে বেড়ে যাবে। এছাড়াও হঠাত করে ঘুম ভেঙে যাবে আর মনে হবে দম বন্ধ হয়ে আসছে। সকালে উঠতে না পারা। এছাড়া হাই ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাওয়া এবং অ্যাসিডিটির পরিমানও বাড়বে।
চিকিৎসকদের মতে, কখনই sleep apnea-কে অগ্রাহ্য করা ঠিক নয়।
sleep apnea কার হতে পারে:
চিকিৎসকরা বলছেন এই রোগ যে কোনও মানুষের হতে পারে। তবে যে সমস্ত মানুষ ভয়ঙ্কর ভাবে মোটা তাঁদের তো হবেই এই রোগ। এছাড়াও যে সমস্ত রোগীর রাতের ঘুমানোর প্যাটার্ন ঠিক নেই তাঁদের তো sleep apnea হবেই বলছেন চিকিৎসকরা। শুধু তাই নয়, যাদের রাতে বার বার ঘুম ভেঙে যায় তাদের sleep apnea অনেক বেশি আঘাত হানতে পারে।
বাঁচতে চাইলে কি করবেন?
sleep apnea-এর থেকে বাঁচার ক্ষেত্রে কোনও চিকিৎসা নেই। এমনকি কোনও টোটকাও নেই। এর জন্যে অবশ্যই sleep apnea-সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের দেখানো উচিৎ। ডাক্তার রোগীকর ঘুমানোর পুরো মনিটারিং করার পর একটি যন্ত্র লাগানোর পরামর্শ দিতে পারে। যার মাধ্যমে sleep apnea-এর মতো মারাত্মক রোগ থেকে কিছু মুক্তি পাওয়া যাবে। তবে এই রোগ থেকে কখনই পাকাপাকিভাবে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়।