কোভিড মৃত্যুর ভয়াবহতা গোপন করতে গোরক্ষপুরের শ্মশান ব্যানার দিয়ে ঢাকল যোগী সরকার
গোরক্ষপুরের শ্মশান ব্যানার দিয়ে ঢাকল যোগী সরকার
করোনা ভাইরাসে দেশের বেশ কিছু রাজ্যের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের অবস্থাও বেশ খারাপ। বর্তমানে যোগী রাজ্য করোনার দ্বিতীয় ওয়েভের সঙ্গে লড়াই করে চলেছে। শনিবার এ রাজ্যে ৩০০টিরও বেশি মৃত্যু ও ৩০ হাজার নতুন সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। রাজ্যে অক্সিজেন সরবরাহ, হাসপাতালে বেডের ঘাটতি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে মানুষের সঙ্গে রাজনৈতিকবিদদের ঠান্ডা লড়াই প্রতিদিনই চলছে।
উত্তরপ্রদেশে
কোভিড–১৯
মৃত্যুর
হার
ক্রমেই
বাড়ছে।
সোশ্যাল
মিডিয়ায়
ছড়িয়ে
পড়া
শ্মশানঘাটগুলির
ছবি
এবং
ভিডিওতে
দেখা
গিয়েছে
সার
সার
জ্বলতে
থাকা
চিতা।
মৃতদেহের
চাপে
নাজেহাল
শ্মশানকর্মীরা।
যেটা
দেখার
পর
অনেক
নেটিজেনই
যোগী
সরকারের
সমালোচনায়
সরব
হয়েছেন।
এতে
মুখ
পুড়ছে
উত্তরপ্রদেশের
বিজেপি
সরকারের।
শ্মশানে
মৃতদেহের
স্তুপের
ছবি
তোলা
থেকে
সাধারণ
মানুষকে
বিরত
রাখতে
গোরক্ষপুরের
মিউনিসিপ্যাল
কর্পোরেশন
সম্প্রতি
শ্মশানের
দেওয়ালে
একাধির
ব্যানার
লাগিয়েছে
যাতে
শ্মশানের
দৃশ্য
দেখা
না
যায়।
ছবি তোলা নিয়ে সতর্কতা জারি করে গোরক্ষপুরের পুরনিগম ব্যানারে লিখেছেন, 'শ্মশানে পার্থিব দেহ দাহ করার হিন্দু রীতির অংশ। দয়া করে সেখানে কেউ ছবি তুলবেন না বা ভিডিও করবেন না। কেউ যদি এটা করে তবে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি ভাইরাল হওয়ার পর গোরক্ষপুর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন শ্মশানঘাট থেকে ব্যানারগুলি সরিয়ে দেন। সাধারণ মানুষের দাবি, শ্মশানে একাধিক কোভিড দেহ পুড়ছে, সেগুলির ছবি যাতে না কেউ তুলতে পারে তার জন্য ব্যানার লাগানো। উত্তরপ্রদেশ সরকারের ব্যর্থতা গোপন করার প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।
দৈনিক সংক্রমণে খানিক পারাপতন, বেড-অক্সিজেন ঘাটতিম মাঝে আতঙ্ক কমছে না গোটা ভারতে
এর আগে লখনউতে পুরনিগমের কর্মীরা শ্মশানের দৃশ্য ঢাকতে টিনের কভার লাগিয়ে দেয়। অনেকেই বলছেন উত্তরপ্রদেশ সরকার কোভিড দ্বিতীয় ওয়েভের মৃত্যুর ভয়াবহতা গোপন করতেই এই শ্মশানঘাটগুলি ঢেকে রাখছে।