বাতিল নোটের 'নতুন জীবন' দিচ্ছেন তামিলনাড়ুর সাজাপ্রাপ্ত বন্দিরা
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা বাতিল নোটের জীবন ফিরিয়ে দিচ্ছেন। তামিলনাড়ুর পুজাল কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে চলছে কাজ। বন্দীরা তৈরি করছেন কাস্টমাইজড স্টেশনারি।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা বাতিল নোটের জীবন ফিরিয়ে দিচ্ছেন। তামিলনাড়ুর পুজাল কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে চলছে কাজ। বন্দিরা তৈরি করছেন কাস্টমাইজড স্টেশনারি। পদস্থ সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, এইসব জিনিস সরকারি অফিস কিংবা সহযোগী সংস্থায় ব্যবহার করা হচ্ছে।
প্রত্যেকদিন বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ২৫ থেকে ৩০ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দি পুজাল কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে তৈরি করছেন ফাইল প্যাড। তামিলনাড়ুর জেল দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিআইজি এ মুরুগেসান জানিয়েছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তাদের ৭০ টন পুরনো বাতিল নোট অফার করেছিল, কিন্তু তারা এখনও পর্যন্ত ৯ টন বাতিল নোট নিতে পেরেছন। বাকি নোট ধাপে ধাপে নেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত ১.৫ টন বাতিল নোট দিয়ে ফাইল প্যাড তৈরি করা হয়েছে। পুজালে প্রতিদিন বাতিল নোট দিয়ে প্রায় ১ হাজার ফাইল প্যাড তৈরি করা হচ্ছে।
বাতিল নোটগুলিকে প্রথমে কুচিয়ে ফেলা হয়। পরে মণ্ড তৈরি করা হয়। এরপর তাদের ছাঁচে ফেলে কঠিন বস্তুতে পরিণত করা হয়। এইভাবে শক্ত প্যাড তৈরি করা হয়। পুরোটাই করা হয় হাতে। বাতিল নোট ছাড়াও ফাইল প্যাড তৈরি করতে খাদি থেকে শক্ত প্যাড সংগ্রহ করা হয়।
বন্দিরা মাসের ৩০ দিনে ২৫ দিন ফাইল প্যাড তৈরির কাজ পান। আট ঘণ্টায় তাদের মজুরি ১৬০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। কাজের পারদর্শীতা অনুযায়ী স্কিলড, সেমিস্কিলড-এ ভাগ করা হয়েছে বন্দিদের।
পুজাল কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের হাতে তৈরি স্টেশনারি ইউনিটটিকে সেমি অটোমেটিক করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এর ফলে উৎপাদনও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার আধিকারিকরা। ভেলোর, সালেম, মাদুরাই-সহ ছটি জায়গায় থাকা সংশোধনাগারের মধ্যে একমাত্র পুজালের সংশোধনাগারেই বাতিল নোট দিয়ে স্টেশনারি দ্রব্য তৈরি করা হয়। তামিলনাড়ুতে প্রতিমাসে প্রায় দেড়লক্ষ ফাইল প্যাড তৈরি করা হয়।