ঋণখেলাপির আঁচ পড়েছে জাতীয় সড়ক উন্নয়নেও, থমকে কেন্দ্রের স্বপ্নের প্রকল্প
যত সময় গড়াচ্ছে ততই যেন সড়ক উন্নয়ন তথা নতুন সড়ক তৈরির প্রকল্পগুলি মুখ থুবড়ে পড়ছে। আর এর অন্যতম মূল কারণ হিসাবে উঠে আসছে ঋণখেলাপির তত্ত্ব।
ইউপিএ সরকারের আমল থেকে এনডিএ আমলে জাতীয় সড়ক প্রকল্পে অনেক বেশি উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছিল। কিছুটা উল্লেখযোগ্যভাবে গতিও চোখে পড়ে। তবে যত সময় গড়াচ্ছে ততই যেন সড়ক উন্নয়ন তথা নতুন সড়ক তৈরির প্রকল্পগুলি মুখ থুবড়ে পড়ছে। আর এর অন্যতম মূল কারণ হিসাবে উঠে আসছে ঋণখেলাপির তত্ত্ব।
ধীরে ধীরে রাস্তা তৈরির কাজ থমকে গিয়েছে। এর আগে রাস্তা তৈরির ঠিকাদারদের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য যে ঋণ দেওয়া হয়েছিল তা ঠিক সময়ে ফেরানো হয়নি। ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি নিয়েও গোলমাল হয়েছে। ২০২২ সালের মধ্যে ৮৪ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করার কথা রয়েছে। তা কীভাবে হবে তা নিয়ে বেশ চিন্তায় রয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি নিয়ে বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত বলে জানিয়েছেন। শিল্পের স্বার্থে, বিনিয়োগ, ঠিকাদার, কর্মসংস্থান ও সর্বোপরি অর্থনৈতিক বৃদ্ধির স্বার্থে ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেওয়ার পথ প্রশস্ত করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
তবে ব্যাঙ্কগুলির ব্যালান্স শিট বলছে, ঋণ দিয়ে তা ফেরত না পাওয়ার অঙ্কটা বিশাল। বিশ্বের প্রথম ২০টি বড় অর্থনীতির মধ্যে ইতালির পরেই রয়েছে ভারত। সেটাই সবচেয়ে বড় কারণ ব্যাঙ্কগুলির হাত গুটিয়ে নেওয়ার পিছনে।
দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্কিং সংস্থা এসবিআই এর বাজে ঋণের পরিমাণ ৬০-৭০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। এসবিআই এর বেশিরভাগ ঋণই পরিকাঠামো ক্ষেত্রে নেওয়া হয়েছে। তা ফেরত না আসাতেই ঋণ দিতে গিয়ে বেশি সতর্ক হয়ে গিয়েছে সংস্থা। এমনটাই এসবিআইয়ের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অরিজিৎ বসু জানিয়েছেন। এখন ঘটনা হল কবে জটিলতা কেটে উন্নয়নের পথ প্রশস্ত হবে কেউ জানে না। এক্ষেত্রে সরকারকেই এগিয়ে এসে পথ বের করতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।