
দেওয়ালির আগে অচল হতে পারে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের পথে কর্মীরা
দীপাবলির আগে বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা ব্যাঙ্কিং সেক্টরে। সংযুক্তিকরণের প্রতিবাদে ২২ অক্টোবর থেকে ধর্মঘটে নামছেন ব্যাঙ্ক কর্মীরা। যদিও একদিনই হবে এই ধর্মঘট। কিন্তু দীপাবলির আগে ব্যাঙ্ক কর্মীদের এই ধর্মঘট প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মোদী দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ব্যাঙ্কিং সেক্টরে দুরবস্থা তৈরি হয়েছে। শেয়ার বাজারে এসবিআই, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক সহ একাধিক রাষ্ট্রায়াত্ব ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের শেয়ার পড়তে শুরু করেছে। তার উপরে একাধিক ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণের কথা ঘোষণা করে চলেছে মোদী সরকার। এতে একদিকে যেমন প্রভাব পড়ছে ব্যাঙ্কিং লেনেদেন। ঠিক অন্যভাবে প্রভাব পড়ছে ব্যাঙ্ক কর্মীদের চাকরিতেও। কাজ হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ব্যাঙ্কিং সেক্টরের সংযুক্তিকরণের প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ব্যাঙ্কের কর্মচারী সংগঠন। অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এম্পয়িজ অ্যাসোসিয়েশন এবং ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া নামে দুই সংগঠনেকর ডাকে ২২ তারিখ ধর্মঘটে সামিল হচ্ছে কর্মীরা। বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই দুই সংগঠনের তরফে ধর্মঘটের কথা জানানো হয়েছে ২২ অক্টোবর সকাল ৬টা থেকে ২৩ অক্টোবর সকাল ৬টা পর্যন্ত চলবে এই ধর্মঘট।
ব্যাঙ্কিং সেক্টরের দুরবস্থা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে বিরোধীদের তুমুল তরজা চলছে। ব্যাঙ্ক কর্মীদের এই ধর্মঘট সেই তরজায় আরও ইন্ধন দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দাবি করেছিলেন মনমোহন জমানাতেই ব্যাঙ্কিং সেক্টরের চরম অবনতি শুরু হয়। তার পাল্টা জবাবে মনমোহন সিং বলেছিলেন সমস্যা মেটানোর চেয়ে দোষারোপেই আগ্রহ বেশি মোদী সরকারের।
তবে মোদী-২ সরকারের আমলে ব্যাঙ্কিং সেক্টর যে ভীষণ ভাবে ক্ষতি গ্রস্ত তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। মূলধনে ঘাটতি, বাড়ছে অনাদায়ী ঋণের বোঝা, শেয়ারের পতন সব দিক থেকে বিপর্যস্ত অবস্থা তৈরি হয়েছে।