বাংলাদেশে বরদাস্ত নয় ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ, আশ্বাস বিজিবি কর্তার
তিনি বলেছেন, "ভারত-বিরোধী যে কোনও কাজ বন্ধে আমরা কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছি। সম্প্রতি ভারত সীমান্ত লাগোয়া সিলেট থেকে বিপুল অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছি।" তিনি জানান, তাতে ২০০টি ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী রকেট ছাড়াও বোমা, কার্তুজ ইত্যাদি ছিল। ২০০৪ সালে চট্টগ্রামের ঘটনার পর এটাই হল দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র উদ্ধার অভিযান।
এগুলি কি ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গিরা? তাঁর জবাব, "হতেও পারে। ভারতের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির জন্য এই হয়তো এই অস্ত্র আসছিল। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে সত্যিটা জানা যাবে।" তিনি স্বীকার করেছেন, যখন ভারতের পুলিশ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়, তখন কখনও-সখনও তারা সীমান্ত টপকে বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। আবার বাংলাদেশ অভিযান চালালে ওরা ফের ভারতে ঢুকে পড়ে।
সম্প্রতি বিএসএফ ৪৫টি জঙ্গি শিবিরের একটি তালিকা বিজিবি-র হাতে তুলে দিয়েছিল। বিএসএফের দাবি ছিল, আন্তর্জাতিক সীমানার ৫-১৫ কিলোমিটারের মধ্যে এরা ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ চালাচ্ছে। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজিবি-র ওই কর্তা। তিনি বলেছেন, পাকাপাকিভাবে এমন ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ বাংলাদেশের মাটিতে চলছে বলে তাঁর জানা নেই। বাংলাদেশ কখনওই ভারত-বিরোধী শক্তিতে তাদের মাটিতে প্রশ্রয় দেবে না বলে জানান তিনি।
সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ওদেশে গিয়েছিলেন। তখন তাঁকেও একই আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। আইএসআই বাংলাদেশকে ঘাঁটি করে ভারতের বিরুদ্ধে নাশকতা চালানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি।