পিপিই পরে স্বাস্থ্যকর্মী সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছে ‘ছদ্মবেশী’ ডাকাতদল! অসাবধান হলেই সর্বস্ব লুঠ
পিপিই পরে স্বাস্থ্যকর্মী সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছে ‘ছদ্মবেশী’ ডাকাতদল! অসাবধান হলেই সর্বস্ব লুঠ
করোনার হানায় চিকিৎসক থেকে নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা মুখ ও শরীর লুকিয়েছেন পিপিই-তে। এই পরিস্থিতিতে সেই সুযোগটাই নিল একদল ডাকাত। করোনার উপসর্গ পরীক্ষা করতে সবাই যখন এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতাল ঘুরছে, তখন তাঁদের সামনে পিপিই পরে স্বাস্থ্যকর্মী সেজে হাজির হচ্ছে সেই ডাকাতদল।
সাবধান ছদ্মবেশী ডাকাত থেকে
তাই ঢাকা প্রশাসন রোগীদের সাবধান করেদিল ডাকাতদলের হাত থেকে বাঁচতে। নিজেরা যাতে সাবধানতা অবলম্বন করে, যাতে তাঁরা ছিনতাইয়ের মুখে না পড়ে, তার জন্যই আগে থেকে সাবধান করে দেওয়া হল সাধারণ মানুষকে। ঢাকা প্রশাসন এইসব ছদ্মবেশী ডাকাতদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে।
পিপিই-তে মুখ লুকিয়ে সর্বস্ব লুঠ
বিশ্বের দুশোটিরও বেশি দেশে সংক্রমিত হয়েছে করোনাভাইরাস। লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন করোনার প্রকোপে। কিন্তু কোনও দেশেই এই নয়া বিপত্তি তৈরি হয়নি যে, পিপিই-তে মুখ লুকিয়ে রোগীদের সর্বস্ব লুঠ করা হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে সম্প্রতি এই বিপত্তি সামনে এসেছে।
সুযোগ নিচ্ছে ডাকাতদল
করোনার প্রকোপ কমাতে এখন পরীক্ষাই মূল হাতিয়ার। এদিকে কিটের অভাব। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে কিছু কিছু এলাকায় গিয়ে এলাকাভিত্তিক পরীক্ষা ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর সেই সুযোগটাই পূর্ণমাত্রায় নিচ্ছে ডাকাতদল। তারা পিপিই পরে ঢুকে পড়ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের দলে।
পুলিশের সতর্কতা জারি
বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে, পিপিই পরে চিকিৎক বা স্বাস্থ্যকর্মী পরিচয় দিয়ে কেউ বাড়িতে এলে সবার আগে পুলিশকে খবর দিতে বলা হয়েছে। যাতে করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী সেজে দুষ্কৃতীরা সর্বস্ব লুঠ করে নিয়ে যেতে না পারে, তার জন্যই এই ব্যবস্থা।
উত্তর দিতে বারণ পুলিশের
স্থানীয় থানার অনুমতি ছাড়া বাইরে থেকে আসা কাউকেই বাড়িতে ঢুকতে দিতে বারণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্যকর্মীর পরিচয় দিয়ে কেউ বাড়িতি গিয়ে বাড়ির সদস্য সংখ্যা, সদস্যদের বয়স, সদস্যরা কোথায় গিয়েছে, ইত্যাদি তথ্য জানতে চাইলে উত্তর দিতে বারণ করেছে ঢাকা পুলিশ।
প্রতীকী ছবি